নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঘরের মাঠে এবার হার দেখলো চিটাগাং কিংস। ডেভিড মালানের হাফ সেঞ্চুরিতে ফরচুন বরিশাল ৬ উইকেটে হারিয়েছেন মিঠুনের চিটাগাং ভাইকিংসকে। আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরিশাল মুখোমুখি হয়েছিলো সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা চিটাগাংয়ের। স্বাগতিকরা ম্যাচটি জিতলে বরিশালকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠতো। তবে সেটি আর হয়নি। তামিমের দল ১০ পয়েন্ট নিয়ে রংপুরের পরেই আছে দ্বিতীয় স্থানে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা চিটাগাং কিংস অধিনায়ক মিঠুনের ব্যাটে চড়ে ১২১ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা ফরচুন বরিশাল মাত্র চার উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
১২২ রানের টার্গেটে খেলতে নামে বরিশালের ওপেনার তামিম ইকবাল শুরুতেই ফিরেন। এক বাউন্ডারিতে ১৪ বলে ৮ রানে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউটের শিকারে পরিণত হন তিনি। ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো বরিশাল আরো দুই রান যোগ করতেই হারায় তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়কে। দলীয় ১৬ রানে ৪ বলে ১ রান করে তাওহীদ ফিরেন পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে।
পরপর দুই উইকেট হারানো বরিশালের হয়ে তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও ডেভিড মালান। তবে মুশফিকও বেশি দূর যেতে পারেননি। ওপেনার মালানকে রেখে ইনিংসের সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৩২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটে ফিরে যান তিনি। এক চারে ১০ বলে করেন ১১ রান।
অভিজ্ঞ মুশফিকের বিদায়ের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও হারায় বরিশাল। দশম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটে তিনি ফিরেন প্যাভেলিয়নে। দুই চারে ১১ বলে করেন ১৬ রান।
চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে বরিশালের হয়ে পঞ্চম উইকেটে হাল ধরে মালান ও মোহাম্মদ নবী। ৬৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করেন দু’জনে। দুই ছক্কা ও তিন চারে ৪১ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মালান। তিন চারে ২১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন নবী।
চিটাগাংয়ের হয়ে খালেদ ২টি ও আরাফাত সানি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। ৮ উইকেটে ১২১ রানেই থেমে যেতে হয় তাদেরকে। বরিশালের মাত্র তিন ব্যাটসম্যান এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনই কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন তিনি। ৩৪ বলে সাজান এক চার ও দুই ছক্কার ইনিংসটি।
মিঠুন ছাড়া এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন আরো দু’জন ব্যাটার। আটে নামা আরাফাত সানি দুই চারে ৩৪ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ওপেনার উসমান খান করেছেন ১৯ রান। ১৩ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন তিন চার ও এক ছক্কায়।
বরিশালের হয়ে ফাহিম আশরাফ ও রিপন মন্ডল ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০