নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দলটি। যদিও সেই জয় পেতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়েছে খুলনাকে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য ইনিংসের একেবারের শেষ ওভারে গিয়ে পূরণ করে খুলনা।
দলকে জেতাতে সহায়তা করেন মাহমুদুল হাসান জয়। খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। ৪৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল। অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি শেষ দিকে দুইশ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। দেশীদের কাঁধে চড়েই দারুণ জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। অপরদিকে ঘরের মাঠে আসরের চতুর্থ হার দেখলো চট্টগ্রাম।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ‘ডাক’ মেরে ফিরে যান ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। তবে এরপরই ১০৪ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ও টপ অর্ডার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪৪ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
দ্রুতই ফিরে যান জয়ও। তবে এর আগে আসরে নিজের প্রথম ফিফটি হাঁকান তিনি। ৪৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি তরুণ। খানিকটা চাপে পড়া খুলনার হয়ে এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক রাব্বি ও আজম খান। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ২৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানের জুটিতে ভর করে ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় খুলনা। ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন রাব্বি। ১৬ বলে ২ চারে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আজম খান।
চট্টগ্রামের হয়ে নিহাদউজ্জামান ২টি ও শুভাগত হোম ১টি উইকেট লাভ করেন।
সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলীয় ৮ রানেই ম্যাক্স ও ডাউডের উইকেট হারায় দলটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭০ রানের একটি জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার জন্য সহায়তা করেন।
মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়লেও ফরহাদ রেজার ক্যামিওতে ভর করে শেষ দিকে বড় পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করেন ওপেনার উসমান খান। ৩১ বলে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ৩৫ রান করেন আফিফ। ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ রেজা।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন ওয়াহাব রিয়াজ। ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১ উইকেট লাভ করেন আমাদ বাট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post