নিজস্ব প্রতিবেদক:: তাসকিনের ‘রেকর্ড’ গড়া বোলিংয়ের পর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় আর বিদেশী রায়ান বার্লের জুটিতে ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। বিজয়-বার্লের শতরানের জুটিতে ঢাকার দেওয়া ১৭৫ রানের টার্গেট টপকে যেতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি রাজশাহীকে। সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে বিপিএলে প্রথম জয় পেয়েছে বিজয়ের দল।
ঢাকার দেওয়া টার্গেটে খেলতে নামা রাজশাহীকে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়ে শুরু করে। ইনিংসের পঞ্চম বলে দলীয় ১৩ রানে ব্যক্তিগত ১২ রানে ওপেনার হারিস মোহাম্মদকে হারায় দলটি। আরেক ওপেনার জিসান আলম আরো একবার শুন্য রানে ফিরেছেন। আট বলে খেলেও রানের খাতা খুরতে না পারা এই ওপেনার ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩১ রানে সাজঘরে ফিরেন।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন বিজয় ও ইয়াসির। ইনিংসের দশম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৭৩ রানে ভাঙে ৪২ রানের জুটি। ২০ বলে ২২ রানে ফিরেন ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর চতুর্থ উইকেটে বিজয় ও রায়ান বার্ল ১০৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে দেন। ৪৬ বলে ৭৩ রানের নান্দনিক এক ইনিংস খেলেন রাজশাহীর অধিনায়ক। নয় চার ও তিন ছক্কায় তিনি নিজের ইনিংসটি সাজান। ৩৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন রায়ান বার্ল। তিন ছক্কা আর পাঁচ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। তাদের দু’জনের শতরানের জুটিতে ১৮.১ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
ঢাকার হয়ে মুস্তাফিজ, মুকিদুল ও আলাউদ্দিন বাবু একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে বিপিএলের ইতিহাসে সেরা বোলিং করার পরও ঢাকা ক্যাপিটালস যদি ১৭৪ রান তুলে। তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিং মোকাবেলা করেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে দলটি। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ক্যাপিটালস দুই ওপেনারকে হারায় দ্রুত। দলীয় ৫ রানে ওপেনার লিটন দাস ফিরেন ডাক মেরে। আরেক ওপেনার তানজীদ তামিমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ১৪ রানে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন তিনিও।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো ঢাকা তৃতীয় উইকেটে ম্যাচে ফিরে। স্টিফেন ও শাহাদত মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। ইনিংসের ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৯৩ রানে স্টিফেনের বিদায় ভাঙে তাদের জুটি। ছয় চার ও দুই ছক্কায় ২৯ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক থিসারা পেরেরা দলীয় ১২৯ রানে সাজঘরে ফেরত যান। দুই ছক্কা ও এক চারে মাত্র ৯ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
চারে নামা শাহাদত হোসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে ঢাকা রানের চাকা সচল রাখে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন তিনি। ৪১ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন সাত চারে। তিন চার ও এক ছক্কায় ১৩ বল ২৪ রান করেছেন সুবাম। ৯ বলে ১৩ রান করেন আলা উদ্দিন বাবু। ঢাকা থামে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে।
রাজশাহীর হয়ে তাসকিন সাতটি, হাসান মাহমুদ ও মোহর শেখ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০