আশিক উদ্দিনঃ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল মাঠে নেই সবুজের ছোঁয়া। তবে আউটার মাঠ যেন সবুজের আচ্ছাদনে মোড়ানো। স্টেডিয়ামে ঢুকে বাঁ-দিকের আউটার দেখে মনে হবে এ যেন বিদেশের মাঠ। ছোট জায়গা। কিন্তু অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এই আউটারে রয়েছে ১০টি উইকেট। আপাতত ড্রেসিংরুম না থাকলেও শিগগিরই নির্মাণ করা হবে সেটি। অস্থায়ী ড্রেসিংরুম নিয়েই শুরু হয়েছে আউটারের পথচলা।
আউটারের এই জায়গাটা আগে অনেকটা নিচু ছিল। সেখানে দুই ফিট মাটি ভরাট করেই বানানো হয়েছে বিশ্ব মানের আউটার। এক সারিতে ১০টি আন্তর্জাতিক মানের উইকেটে অনুশীলন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকাপে এমনটাই জানিয়েছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান। ইতোমধ্যে বিপিএলের দল সিলেট স্ট্রাইকার্স প্রথমবার অনুশীলন করেছে এই মাঠে। যদিও শুক্রবারের অনুশীলনে সবগুলো উইকেট ব্যবহার করতে পারেন নি মুশফিকুর রহিম-জাকির হাসানরা।
আউটারের উইকেটগুলো দেড় বছর ধরে তৈরি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে চট্টগ্রামে আলাদা কোনো অনুশীলন মাঠ ছিল না। ইনডোরেও নেই অনুশীলনের সুযোগ। সাগরিকায় ক্রিকেটারদের অনুশীলন বলতে ছিল মূল মাঠে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ৮টি উইকেট। সেগুলোর উপরও ছিল বেশ খাটুনি। তবে এবার খানিকটা নিস্তার পাচ্ছে মূল মাঠের অনুশীলন উইকেটগুলো।
শুক্রবার থেকে পথ চলতে শুরু করা আউটার প্রথমেই স্বাগত জানায় সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা ছাড়া বাকি সব ক্রিকেটারদের নিয়েই এখানে অনুশীলন করে সিলেট। মুশফিক-জাকিররা নতুন উইকেটে সময় নিয়ে ব্যাটিং করেছেন। মোহাম্মদ আমির, রেজাউর রহমান, তানজিম হাসান সাকিবরা দীর্ঘক্ষণ পেস বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন।
আউটারের সবুজাভ উইকেটে বোলিং করতে দেখা গেছে সিলেটের পেস বোলিং কোচ সৈয়দ রাসেলকেও! হয়তো সবুজে ঘেরা মাঠ দেখে নিজের বোলিং লোভ সামলাতে পারেন নি জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার। এতোদিন ইনডোরহীন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যেন পূর্ণতা পেলো আউটারে সিলেট দলের অনুশীনে। এখন থেকে বিপিএল বা আন্তর্জাতিক দলগুলোর ক্রিকেটাররা ব্যবহার করতে পারবেন ১০টি উইকেটের এই আউটার মাঠ।
Discussion about this post