নিজস্ব প্রতিবেদক:: সব কিছুই পরিস্কার ছিলো। সাকিব দেশে আসবেন। ঢাকায় সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলে আবারো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশে আসতে সাকিবও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওয়ানা দেন। তবে দল ঘোষণার পরপরই পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। সাকিব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ঢাকায়। এরপরই ঢাকা থেকে সাকিবকে দুবাইয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিলো।
আজ দুবাই থেকে সাকিবের ঢাকায় আসার কথা ছিলো, কিন্তুু সরকার তাকে এখনি ঢাকায় আনতে চাইছে না। সাকিবকে দুবাই থেকে আবারো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হয়েছে। গতকাল দুবাইয়ে এসে ঢাকার বিমানে উঠার অপেক্ষা ছিলেন সাকিব। আজ বিকেলে তার ঢাকায় পৌঁছানোরও কথা ছিলো। তবে সরকার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলায় সেখান থেকেই এই অলরাউন্ডারকে ফেরত যেতে হচ্ছে।
সাকিব ছাত্র আন্দোলনে পাশে থাকতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ব্যাখা করেন তার রাজনীতিতে আসার কারণও। এরপরই সরকারের সবুজ সঙ্কেত মেলে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানান, একজন ক্রিকেটারের নিরাপত্তা রাষ্ট্র দেবে। প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তাই রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাকিবের দেশে আসা এবং বিদেশ যাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকেরাও সরকার এবং বিসিবি থেকে সবুজ সঙ্কেত পান। ফলে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে সাকিবে দলে রাখেন তিনি। তার আগে নির্বাচকরা সব পক্ষ থেকেই ক্লিয়ারেন্স নেন। এক ভিডিও বার্তায় নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, ‘আমরা বোর্ডের সবুজ সংকেত পেয়েই সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে নিয়েছি। অন্য সব জায়গা থেকেও আমরা ক্লিয়ারেন্স নিয়েই সাকিবকে দলভুক্ত করেছি।’
কিন্তুু এই ক্রিকেটারকে নিয়ে দল ঘোষনার পরই ঢাকায় আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। সাকিবের কুশপুত্তুলিকা দাহ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে। আজ মিরপুরে সাকিবকে দেশের মাটিতে খেলতে না দেওয়ার দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া কথা আছে। এমন কর্মসূচিতে সরকার চিন্তিত হয়ে পড়ে অলরাউন্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে।
দ্রুত পাল্টে যায় সরকারের মনোভাব। সাকিবকে দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যেতে বলা হয়। ফলে আজ আর ঢাকায় আসছেন না বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার। শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট তিনি এখনি খেলতে পারছেন না। হয়তো কানপুর টেস্টই তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হয়ে থাকবে।
এদিকে সাকিবের ঢাকা ফেরা নিয়ে এই জঠীলতায় মুখােমুখি হতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটও। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম দলে নিয়ছে এই তারকাকে। সাকিব ছাড়া বিপিএল যেনো মলিন। এখন যেহেতু দেশে ফিরতে পারেননি, জাতীয় দলের ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি, সেখানে বিপিএল খেলতে তার ঢাকায় ফেরাটাও অনিশ্চিয়তার মুখে পড়লো।
এসএনপিস্পের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০