স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্বে নিয়মরক্ষার ম্যাচে মাঝারি পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৬৫ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান-তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটির ম্যাচে শেষে দিকে দারুণ ব্যাট করেছেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান। তাতে লড়াকু সংগ্রহ পায় আগেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়া বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। টিকতে পারেন নি তানজিদ হাসান তামিমও। সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় হয়েছেন ব্যর্থ। পাঁচে নামা মেহেদি হাসান মিরাজও থিতু হতে পারেন নি আজ। রানের খাতা খোলার আগেই মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়েছেন লিটন। শামির সুইং করে ভেতরে ঢোকা বলের লাইন বুঝতেই ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। ফলে শূন্য রানেই ফিরে যেতে হয় তাকে।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম। তিনি ১২ বলে ১৩ রান করে শার্দুল ঠাকুরের ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে ১১ বলে ৪ রান করে আউট হয়েছেন এনামুল বিজয়। প্রমোশন পেয়ে পাঁচ নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ একই ওভারে দুইবার জীবন পেয়েছেন। তবু ইনিংস বড় করতে পারেন নি তিনি। ২৮ বলে ১৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তরুণ ব্যাটার হৃদয়। ১১১ বলে হৃদয়কে নিয়ে সাকিব পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন ১০০ রান। এরপর নিজের ইনিংস বেশিদূর এগোতে পারেননি সাকিব। ব্যক্তিগত ৮০ রানে। শার্দুলের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৩টি ছক্কা ও ৬টি চারে সাজানো ছিল সাকিবের ৮৫ বলের ইনিংসটি। শামীম পাটোয়ারি দায়িত্ব পালন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন আজ। এই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরে গেছেন মাত্র ১ রান করে।
এরপর ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। অবশ্য এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৮১ বলে ৫৪ রানে থামেন। শেষদিকে নাসুম ও শেখ মেহেদি বাংলাদেশের রান বাড়িয়েছে। তুলনামূলক আগ্রাসী ছিলেন নাসুম। তিনি ৪৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ১টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। এটিই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এরপর মেহেদি ও অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব মিলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। মেহেদি ২৯ ও সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post