নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ব্যাক অফ লেন্থে আউটসাইড অফ ডেলিভারি। আউট সাইড এজ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে কামিন্দু মেন্ডিস। তবে ১২৭ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় নামের পাশে ১০২ রান। অথচ নিজের ইনিংসের একেবারে প্রথম বলে শরিফুলের ডেলিভারিতে স্লিপে জয়ের ক্যাচ মিসে শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন। আর সেই জীবন পেয়ে শেষমেশ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন কামিন্দু। অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সাথে ২০২ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন।
৫৭ রানে ৫ উইকেট থেকে ২৫৯ রানে গিয়ে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেট বা এর নিচে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। আর সেই রেকর্ড গড়া জুটি ভেঙেই নিজের অভিষেক উইকেটের দেখা পান নাহিদ রানা। সেই নাহিদই এরপর ফেরান আরেক সেট ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। যিনিও কিনা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, কামিন্দুর সমান ১০২ রান করেছেন। ১৩১ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এরপর আর কেউ তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। প্রভাত জয়সুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারারা লোয়ার অর্ডারে ব্যর্থ হয় ফিরলেই প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ২৮০ রানে। এর জবাবেই এখন ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ দল।
এর আগে সকালের শুরুতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন বাংলাদেশের বোলাররা। ঘুমোট আবহাওয়া কাটিয়ে সকালের মিষ্টি রোদে ম্যাচের শুরু থেকেই সফরকারী ব্যাটিং লাইনআপকে নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছিলেন শরিফুল-খালেদরা। দুর্দান্ত পেস আর সুইংয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট তুলে নেন খালেদ। স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নিশান মধুশঙ্কা। সেই খালেদই এরপর একে একে ফেরান কুশল মেন্ডিস (১৬) ও দিমূথ করুণারত্নেকে (১৭)।
খালেদ টপ অর্ডারে ধস নামানোর পর, রান আউটের ছোবলে পড়ে লঙ্কানরা। ধীর গতিতে রান নিতে গিয়ে টাইগার অধিনায়ক শান্ত’র দারুণ এক থ্রো’তে রান আউটে কাঁটা পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (৫)। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার দীনেশ চান্দিমালও টিকতে পারেননি বেশি সময়। ৯ রান করে তিনি কাটা পড়েন শরিফুলের পেস তোপে।
এরপরই অপ্রতিরোধ্য এক জুটি গড়েন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম সেশনে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে দ্বিতীয় সেশনেও অবিচ্ছিন্ন জুটি ধরে রাখেন দুজন। দ্বিতীয় সেশনে বিনা উইকেটে ২৭ ওভারে দুজনে তুলেন ১২৫ রান। আর তৃতীয় সেশনে সেই জুটি ভাঙেন নাহিদ রানা।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা। এছাড়া শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট লাভ করেন। দুটি রান আউটের একটি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেকটিতে অবদান দিপু ও শরিফুলের।
Discussion about this post