স্পোর্টস ডেস্ক:: ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিসেন্সে শুরুতেই লাল কার্ড। ম্যাচের ২০তম মিনিটেই পিএসজি ১০ জনের দল। এরপরই শুরু ছন্নছাড়া খেলা। ঘরের মাঠে হেরে তাই ভালো মতো মাঠ ছাড়তে পারেননি মেসি-এমবাপেরা। পিএসজির সমর্থকের মাঠ ছাড়ার সময় দুয়ো দিয়েছেন মেসি-এমবাপেদের।
দুর্বল লারিয়াঁর বিপক্ষে জিততে পারলো না পিএসজি। টেবিল টপাররা হেরেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। সমর্থকেরা তাই ছাড় দেননি। ম্যাচ শেষে সেটা ভালো মতোই বুঝেছেন মেসিরা। পার্ক দে প্রিন্সেন্সে সমর্থকদের দুয়ো খেয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা।
আশরাফ হাকিমি ম্যাচের ৫ম মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন। ২০তম মিনিটে আবারো একই পরিণতে। দুই হলুদে লাল হয়ে তিনি মাঠে বাইরে। তার আগ পর্যন্ত পিএসজি পিছিয়ে ছিলো ১-০ গোলে। ১০ জনের দল হয়ে পরে হজম করেছে আরো দুই গোল। যদিও শোধ দিয়েছেন একটি। তবে তাতে যে হার এড়ানো যায়নি।
পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে থাকা দলের কাছে হারলেও পিএসজির অবস্থান শীর্ষেই থাকছে। ৩৩ ম্যাচে ২৪ জয়ে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার মেসিরা। দুর্বল লোরিয়াঁদের বিপক্ষে যেনো কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি মেসি-এমবাপেরা।
ম্যাচে রীতিমতো দাপট দেখিয়েছে লোরিয়াঁ। ১৫তম মিনিটেই লিড নেয় অতিথিরা। এনজো লে ফির গোলে ১-০ গোলে যায় দলটি। পিছিয়ে পড়া এরপরই বড় হোঁচট খাট। ৫ম মিনিটে প্রথমবার হলুদ কার্ড দেখা আশরাফ হাকিমি ২০তম মিনিটে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে।
১০ জনের পিএসজি এরপরও সমতায় ফিরেছিলো। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে এমবাপের গোলে স্কোর লাইন হয় ১-১। সমতায় থাকা ম্যাচে লোরিয়াঁ এগিয়ে যেতে মাত্র দশ মিনিট সময় নেয়। ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে ডার্লিন ইয়ংওয়া পিএসজিকে শিবিরকে স্তব্ধ করে দেন। অতিথিরা এগিয়ে যায় ২-১ গোলের ব্যবধানে। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় পিএসজিকে।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে পিছিয়ে পড়া পিএসজি ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে মেসি-এমবাপেদের সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। উল্টো ম্যাচের শেষ দিকে বাম্বা ডিয়েং চ্যাম্পিয়নদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে বদলী নামা সেনেগালের এই ফুটবলার ৮৮তম মিনিটে গোল করে মেসিদেরা ম্যাচের ফেরার স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন করে দেন। ৩-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তারকায় ঠাসা দলটিকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post