স্পোর্টস ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শনিবারের বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে পাওয়া জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাবর আজমের দল। ৪০২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাঙ্গালোরে দারুণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামান।
শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৮ চার ও ১১ ছক্কায় ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফখর। ১৫৫’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি। অপরপ্রান্তে বাবরও ফিফটি পূরণ করেন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৬ রান করে। এর আগে ৩৯ বলে ফখর স্পর্শ করেন ফিফটি। রানের গতি বাড়িয়ে ৬৩ বলে যান তিন অঙ্কে, পরের পঞ্চাশ আসে কেবল ২৪ বলে। এরপরও খেলেন একই তালে। তাতে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। এই লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তেমন কেউ ছিলেন না।
একাদশে ফেরার পর সময়টা দারুণ কাটছে ফখরের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১২ রান করার পর টানা পাঁচ ম্যাচ বাইরে ছিলেন তিনি। ফেরার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮১ রান করে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার, বিশ্বকাপে প্রথম। বৈশ্বিক আসরে ম্যাচ সেরার দ্বিতীয় পুরষ্কারটির জন্য একদমই তার অপেক্ষা করতে হল না। ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে নবমবার পেলেন সেরার স্বীকৃতি। তবে গত সেপ্টেম্বরেও সময়টা খারাপ কাটিয়ে এসেছেন ফখর।
এরপর ফখর নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন এশিয়া কাপের পর। ফাঁকা সময়ে বিশ্রামে না থেকে পেশোয়ারে পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ আফতাব খানের সঙ্গে দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছেন ফখর। তিনি বলেছেন, ‘এই পর্যায়ের ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকবেই। এশিয়া কাপ আমার জন্য ভালো যায়নি। আমার কি সর্বোচ্চ রান ছিল ৩০? সময়টা ভালো ছিল না। এরপর আফতাব খানের সঙ্গে তাঁর একাডেমিতে কাজ করতে পেশোয়ারে গিয়েছিলাম। অফ স্পিনারদের বিপক্ষে আমার কিছু দুর্বলতা তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি নিজেও একজন অফ স্পিনার ছিলেন, তাই তাঁর সঙ্গে অনেক কাজ করেছি।’
নিজের এই পারফরম্যান্সকে ফখর উৎসর্গ করেছেন সেই আফতাব খানকেই, ‘পারফর্ম করার পর সব ক্রিকেটারই বলে আমি এটা করেছি, ওটা করেছি। আসলেই আমি এশিয়া কাপের পর অবসর সময়টাতে বিশ্রামে নিইনি। দুই দিন বাড়িতে থেকে ট্রেনে পেশোয়ার চলে যাই। এই পারফরম্যান্স আফতাব খানের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চাই।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post