স্পোর্টস ডেস্কঃ দুর্ঘটনায় পড়ার প্রায় ১৫ মাস পর ২০২৪ আইপিএল দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে ফিরলেন ঋষভ পান্ত। ফিরেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হয়েই। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ফিরতে না ফিরতেই নাম লেখালেন বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীরদের রেকর্ডে।
দিল্লির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ১০০ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েন পান্ত। আইপিএলে কোনো নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাচের সেঞ্চুরির তালিকায় পান্তসহ আছেন ৭ ক্রিকেটার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েন বিরাট কোহলি। ২০০৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১৬ বছর দলটির হয়ে তিনি খেলেছেন ২৩৯ ম্যাচ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে প্রথম ১০০ ম্যাচ খেলেন গৌতম গম্ভীর।
২০১৬ সালে গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক হয় পান্তের। বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শততম ম্যাচ খেললেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে পান্তের মাইলফলকের ম্যাচে জয়ে হাসি হেসেছে রাজস্থান। দিল্লি ম্যাচটি হেরেছে মূলত রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত এক ইনিংসের কাছে। ৪৫ বলে ৭ চার ও ৬ ছয়ে তাঁর অপরাজিত ৮৪ রানে ভর করেই রাজস্থান ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলতে পারে। এই রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৭৩।
জবাব দিতে নেমে মারমুখী শুরু করেন রাজস্থানের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নান্দ্রে বার্গারের প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান তোলেন মার্শ। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মার্শকে আউট করে বদলা নেন বার্গার। ১২ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ২৩ রান করেন মার্শ। একই ওভারে বার্গার আউট করেন রিকি ভুইকেও। এরপর অধিনায়ক পান্তের সাথে বড় জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। পান্ত কিছুটা ধীরে এগোলেও ওয়ার্নার রান তুলছিলেন দ্রুতগতিতে। কিন্তু দলীয় ৯৭ রানে সন্দীপ শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে মাত্র একরানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন ওয়ার্নার। ৩৪ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি পান্তও।
২৬ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করে চাহালের শিকার হন দিল্লির অধিনায়ক পান্ত। অল্পতেই ফেরেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় অভিষেক পোরেল। চাহালকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষ পাঁচ ওভারে ৬৬ রান দরকার ছিল দিল্লির। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১৯ রান তোলে দিল্লিকে ম্যাচে রাখেন ত্রিস্টান স্টাবস ও অক্ষর প্যাটেল। এরই মাঝে স্টাবসের ক্যাচ ফেলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১৮তম ওভারে একটি চারসহ নয় রান তোলেন তারা। শেষ দুই ওভারে ৩২ রানের প্রয়োজন পড়ে দিল্লির।
১৯তম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান তোলেন স্টাবস ও অক্ষর। শেষ ওভারে ১৭ রানের প্রয়োজন পড়ে দিল্লির। বল করতে আসেন পেসার আবেশ খান। দারুণ বোলিং করেন তিনি। দারুণ সব ইয়র্কারে মাত্র চার রান তুলতে পারে দিল্লি। ২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজস্থানের শুরুটা হয়েছিল বাজে। ৭.২ ওভারে ৩৬ রানের মধ্যে যশস্বী জয়সোয়াল, সাঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলারকে হারায় তারা। এরপর রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন চার নম্বরে নামা পরাগ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৩৭ বলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি।
পঞ্চম উইকেটে ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে আরেকটি ফিফটি (২৩ বলে ৫২) রানের জুটি গড়েন তিনি। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে তোলেন ১৫ বলে ৪৩।পরাগ উইকেটে এসে শুরুতে খেলেছেন সাবধানে। পরে পসরা সাজিয়ে বসেন দুর্দান্ত সব শটের। মুখোমুখি হওয়া শেষ ১৯ বলে ৫৮ রান করেন পরাগ। শেষ ওভারে ৬ বলে ৩টি চার ও ২ ছয়ে করেন ২৫ রান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post