নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুরুটা মলিন ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তবে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। প্রথম তিন ম্যাচে টানা তিন হারের পর, এবার আসরে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ডিং পারফম্যান্সে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৩৩ রানে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন।
কুমিল্লার দেওয়া ১৮৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১১ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌম্য সরকার। ফের ডাক মারেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ডাক মারেন রবিন দাসও। দুজনই টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দলীয় ১২ রানে টপ অর্ডারের দুজনকে হারানো ঢাকা দলীয় ৩৪ রানের মাথায় হারায় ওপেনার আহমেদ শেহজাদের উইকেট। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান করা শেহজাদ রান আউটের শিকার হয়েছেন।
বিপর্যয়ে পড়া ঢাকাকে ৫১ রানের জুটিতে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেন। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান করে মিঠুন আউট হলে, ভাঙে সেই জুটি। এরপর আরিফুল হককে সাথে নিয়ে চেষ্টা চালান নাসির হোসেন। তবে লক্ষ্যটা বড় হওয়ায় পারেননি জয় ছিনিয়ে আনতে। দুজনের ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ঢাকা থামে ৪ উইকেটে ১৫১ রানে। ৪৫ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসির। আর ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।
কুমিল্লার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তানভীর আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট নেন হাসান আলি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে কুমিল্লা। গত দুই ম্যাচে কুমিল্লার জয়ের নায়ক লিটন দাস পেসার তাসকিন আহমেদের বলে শুরুতেই বিদায় নেন। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হন শূন্য রানেই। চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রিজওয়ানকে নিয়ে ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
তবে ইমরুল এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে নাসির হোসেনকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলীয় ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২৬ বল মোকাবিলায় ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। এক প্রান্তে আগলে রাখলেও ব্যাট হাতে বেশ মন্থরই ছিলেন রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেটে তাকে সঙ্গে দিতে নামা জনসন চার্লস দলীয় ৮৭ রানের মাথায় ১৯ বলে ব্যক্তিগত ২০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
এরপর ক্রিজে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান খুশদিল শাহ। মাত্র ১৮ বলে ফিফটির দেখা পান খুশদিল। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত এটিই দ্রুততম ফিফটি। এর আগে রনি তালুকদার ১৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। মাত্র ২৪ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রান করে ১৯তম ওভারের শেষ বলে সৌম্যের শিকারে ফিরে যান খুশদিল। ম্যাচে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন তারই স্বদেশি রিজওয়ান। ৪৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। আর ৩ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি অনিক।
ঢাকার হয়ে তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ ইমরান ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post