স্পোর্টস ডেস্ক:: দলের বড় দুই তারকা নেই। বিশ্বজয়ী লিওনেল মেসি আছেন ছুটিতে। লাল কার্ডে নিষিদ্ধ থাকায় ছিলেন না নেইমারও। ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপেও পেলেন না গোলের দেখা। বছরের শুরুতে তাই হারতে হলো ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিকে।
লিগ ওয়ানে লিঁসের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো পিএসজির জন্য। জিতলে বাড়িয়ে নেওয়া যেতো পয়েন্ট। কিন্তুু বড় হারের কারণে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিঁস নিঃশ্বাস ফেলছে এমাপেদের ঘাড়ে। ম্যাচটি জিতে পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধান ১০ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিলো পিএসজির। কিন্তুু পারেনি। বড় জয়ে লঁস ব্যবধান কমিয়েছে। টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটির পয়েন্ট ৪০। পিএসজির পয়েন্ট ৪৪।
পিএসজির ৩-১ গোলের হারের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধেই এসেছে তিন গোল। ম্যাচ শুরুর পরপরই পিছিয়ে পড়া পিএসজি মিনিট খানেক পরেই সমতায় ফিরে। আধঘন্টার মধ্যে আবারো পিছিয়ে পড়া দলটি ম্যাচের বাকীটা সময়ে আর ফিরতে পারেনি। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা তারকা কিলিয়ান এমবাপেও ছিলেন নিষ্প্রাণ। দুই বড় তারকাহীন ম্যাচে তিনিও জ্বলে উঠতে পারেননি।
ম্যাচের পুরোটা সময়ই আধিপত্য ধরে রেখে খেলে লিঁস। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জালে একে একে তিন গোল দেয় দলটি। মেসি-নেইমার বিহীন ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেনি ফরাসি ক্লাবটি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখনো আছেন ছুটিতে। লাল কার্ডের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকায় খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমারও।
ম্যাচের ৭ম মিনিটেই লিঁস লিড নিয়ে নেয়। শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কির দারুণ এক গোলে লিঁস এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এর মিনিট খারেনক পরেই আবার সমতায় ফেরে পিএসজি। গো একিতিকে ম্যাচের স্কোর লাইন করেন ১-১ গোলের। সমতায় থাকা ম্যাচে আবারো এগিয়ে যায় লিঁস। ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লোইস ওপেন্দা গোল করে ব্যবধান ২-১ করে ফেলেন। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় পিএসজিকে।
বিরতির পরপরই আবারো লিড নেয় লিঁস। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে লস ক্ররিদ দারুণ এক গোল করেন। পিএসজি পিছিয়ে পড়ে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের বাকীটা সময় চেষ্টা করেও আর ফিরতে পারেনি ফরাসিরা। শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হারিয়ে তাদেরকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০00
Discussion about this post