নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাউথ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলো সেটাই প্রমাণ করলেন জোর্জি ও স্টাবিস। দু’জনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ের পথে সফরকারীরা। বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে সারা দিন খাটিয়ে মাত্র দু’টি উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। দিন শেষ করেছে ৮১ ওভারে দুই উইকেটে ৩০৭ রানে।
ব্যাটিংয়ে নামা সাউথ আফ্রিকা শুরুটাও ভালো করে। তবে অধিনায়ক নিজে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে মাত্র ৩৩ রান করে তিনি ফিরেন সাজঘরে। ৫৫ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন দু’টি। সফরকারী অধিনায়ক যখন সাজঘরে ফেরেন দলের রান তখন ১৭ ওভার শেষে ৬৯। তাইজুলের শিকারে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
প্রথম উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে রেকর্ড গড়া জুটি। জোর্জি ও স্টাবিস ৩৪২ বলে ২০১ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের বোলাররা কেবল বোলিং করেই যেতে থাকেন। একের পর এক ওভার শেষ করছিলেন তারা, আর সফরকারীরা দুই সেঞ্চুরিয়ান সাবলীল ব্যাট করেই যাচ্ছিলেন। নিষ্প্রাণ বোলিংয়ে উইকেট শুন্য থাকতে থাকে স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদ, নাহিদ রাহান, মেহেদী হাসান মিরাজদের যেনো কিছুই করার ছিলো না। উইকেটের আশায় অধিনায়ক শান্ত বল তুলে দেন মুমিনুলের হাতেই। তবুও কোনো কাজ হচ্ছিলো না।
অবশেষে সেই তাইজুলেই ভাঙে অতিথিদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ইনিংসের ৭৪তম ওভারের চতুর্থ বলে সেঞ্চুরিয়ান স্টাবিসের ষ্ট্যাম্প ভেঙে দেন তাইজুল। ১৯৮ বলে ১০৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া তারকা। ছয় চার আর তিন ছক্কায় সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফিরেন, প্রোটিয়াদের দলীয় রান তখন ২৭০।
স্টাবিসের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে ফেলেন জোর্জি ও ডেভিড। প্রথম দিনে বাংলাদেশকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে দু’জনেই অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। ৩৭ রানে অপরাজিত আছে তাদের জুটি। ২৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন ডেভিড। আরেক সেঞ্চুরিয়ান জোর্জি ১৪১ রানে অপরাজিত আছেন। ২১১ বল খেলে হাঁকিয়েছেন দশ চার ও তিন ছক্কা। প্রোটিয়ারা দিন শেষ করেছে দুই উইকেটে ৩০৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল একাই দু’টি উইকেট নিয়েছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০