কাইয়ুম আল রনি, দিল্লী থেকে:: খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। বিসিবির প্রভাবশালী কর্মকর্তা। দেশের ক্রিকেটে একচ্ছত্র আধিপত্য তাঁর। সাবেক অধিনায়কের রক্ত-মাংসে মিশে আছে ক্রিকেট। বাইশ গজ ছাড়া কখনোই থাকতে পারেন না তিনি।
লাল সবুজ ক্রিকেটের অনেক সাফল্যের কারিগরও সুজন। প্রথমবার আইসিসির যুব বিশ্বকাপ জেতা হয়েছে তার বুদ্ধিদ্বীপ্ত পরিকল্পনাতেই। জাতীয় দলের প্রভাবশালী কর্মকর্তা বলা হয় তাকে। ২০১৫ সালের পর থেকে আইসিসির প্রতিটি ইভেন্টেই তিনি ছিলেন দলের পরিচালক। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সরাসরি প্রতিনিধি।
২০১৫ বিশ্বকাপ, ২০১৯ বিশ্বকাপ, মাঝের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ পেয়েছে সাফল্যও। এসব আসরে খালেদ মাহমুদ সুজনের কথাই ছিলো শেষ কথা। দলের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে নাম সর্বস্ব থাকা হতো না তার। দল নির্বাচন, একাদশ নির্বাচনেও থাকতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রভাবে তার প্রভাবটা কমতে থাকে ধীরে ধীরে।
বিশ্বকাপের আগে হওয়া এশিয়া কাপে তিনি ছিলেন না দলের সঙ্গে। তাতেই বেজায় চটেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার অজান্তেই অনেক সিদ্ধান্ত হয়ে যেতো। বিশ্বকাপেও আসার কথা ছিলো না সুজনের। এরপরই বোর্ড সভাপতিই আবারো ‘টিম ডিরেক্টর’ পদে ফেরান সুজনকে। ভারত বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে আছেন তিনিও।
তবে এবার অদৃশ্য এক শক্তিতে কমেছে টিম পরিচালকের ক্ষমতা। লাল-সবুজ বাঘেদের পরিচালক হয়ে পড়েছেন নখ-দন্তহীন। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এবার আলোচনায় আসছে তার ভূমিকাও। সেমির স্বপ্ন নিয়ে আসা টাইগাররা দশম দলই হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপে।
শুক্রবার তাই টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সেখানেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দলে তার ভূমিকা খুব একটা নেই। ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলার দিকটার পাশাপাশি ছোট ছোট দায়িত্বগুলো পালন করছেন। আগে যেখানে একাদশ নির্বাচনে তার ভূমিকা থাকতো, সেখানে এখন তার কিছুই করার নেই।
বিশ্বকাপ দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের বলেন‘এর আগে প্রতি সফরে আমার যে বাড়তি একটা দায়িত্ব থাকত। দল নির্বাচনের অংশ থাকতাম, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারতাম। এবার তা নেই। একটা জায়গায় আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে যে কতটুকু পারব, কতটুকু পারব না। আগে যেভাবে ভূমিকাগুলো ছিল, এখন আমার সেই ভূমিকা নেই।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
Discussion about this post