কাইয়ুম আল রনি, ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা থেকে:: শেষ পর্যন্ত ইডেনে কমলায় নীল হতে হলো লাল সবুজের বাংলাদেশকে। শতবর্ষী মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে রঙিন রঙে ফেরা হলো না বাংলাদেশের। টানা চার হারের ক্লান্তি নিয়ে মাঠে নামা টাইগাররা জয়ে ফিরতে পারলো না। ছয় ম্যাচে পাঁচ হারে বিশ্বকাপ মিশনই শেষ বাংলাদেশের। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডসের কাছেই হারলো সাকিবের দল।
বাংলা ক্রিকেটে যোগ হলো লজ্জার আরেক রেকর্ড। ইডেন গার্ডেন্সে কমলার স্বাদ তেতো হলো সাকিবদের জন্য। কলকাতায় বিশ্বকাপ কাভার করতে এসে প্রথম প্রতিবেদই করেছিলাম ‘কমলার স্বাদ তেতো হবে নাতো।’ শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হলো।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পেসার তাসকিন দর্শকদের সমর্থন চেয়ে ছিলেন। বলে ছিলেন, দর্শকরা মাঠে থাকলে তারা অনুপ্রেরণা পান। দর্শকরা এসেছেন টিকই। ভিসা জঠীলতা, ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়েই বাংলাদেশের সমর্থকেরা ৬৭ হাজার ধারণ ক্ষমতার ইডেনকে রেখে ছিলেন উৎসব মুখর করে। পুরো ম্যাচ সমর্থন যুগিয়েছেন। তবে দিন শেষে তাদেরকেই হতাশ হয়ে ফিরতে হলো।
তাসকিন-সাকিবরা পারলেন না সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটাতে। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের দৃশ্য দেখলেন টাইগার সমর্থকেরা। আইসিসির এক সহযোগী সদস্যের হাতে তারকা আর অর্থবিত্তে প্রভাবশালী বাংলাদেশের বিশ্বকাপে লজ্জার হার দেখলেন। ফিল্ডিংয়ে একের পর এক ক্যাচ মিস, ব্যাটিংয়ে দায়িত্বহীন ব্যাট করা দলটির এমন হারই স্বাভাবিক।
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস চমক দেখালো আরো একটি। ২২৯ রান করেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে ডাচরা। বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা দলটি তারকা সাকিবের দলকে১৪২ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে। তুলে নিয়েছে ৮৭ রানের ঐতিহাসিক এক জয়।
সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে আসা বাঘেরা কলকাতার বিখ্যাত ইডেনে সেই স্বপ্নের সমাধি দিয়েছে। ডাচ ম্যাচের আগের দিনই তাসকিন বলেছিলেন, তারা বাকী থাকা সব ম্যাচই জিততে চান। সেই সব ম্যাচের সবচেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ, সহযোগী সদস্য দেশটির কাছেই পরাস্ত হলেন। বিধ্বস্ত টাইগারা পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জেতার জন্যই হয়তো মাঠে নামবে।
তবে সেই জয় দলের পরবর্তী সাফল্যে খুব একটা কাজে আসবে না। স্বপ্নের সেমিতে খেলার সুযোগ নেই, সাকিবের চাওয়া পাঁচ-ছয়ে থেকে বিশ্বকাপ শেষ সেটিও আর হবে না। ডাচদের বিপক্ষে এই হার কলকাতায়ই শেষ করে দিয়েছে বিশ্বকাপ স্বপ্ন। ১৮৪০ সালের কলকাতার বিখ্যাত বাগানেই কমলার রঙে নীল হলো বাংলাদেশ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
Discussion about this post