স্পোর্টস ডেস্ক:: মহান বিজয় দিবসের দিনে দ্বীপ রাষ্ট্রে ক্যারিবিয়ানে উড়লো টাইগাদের বিজয়ের পতাকা। সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মেহদী হাসান-হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ রানের ব্যবধানে।
শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হাসান মাহমুদ। স্বাগতিকদের হাফ সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ফিরিয়ে শেষ ওভারে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিলেন তিনি। বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেছে ১৪০ রানে।
১৪৮ রানের লক্ষ্য খেলতে নামা ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইন গুড়িয়ে দেন টাইগার স্পিনার শেখ মেহদী হাসান। পরপর চার উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামান তিনি। এক প্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া রভম্যান পাওয়াল ম্যাচ প্রায় বের করেই নিচ্ছিলেন। শেষ ওভারে তাকে ফিরিয়ে হাসান মাহমুদ নিশ্চিত করেন জয়।
মেহদীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলীয় অর্ধশতকের আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ১ রানে ওপেনার ব্রেন্ডন কিং, দলীয় ২ রানে নিকোলাস পুরানকে হারায় স্বাগতিকরা। ১ রান করে সংগ্রহ করে দু’জনে। দলীয় ৩৩ রানে তৃতীয় উইকেটে ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন ওপেনার জনসন চার্লস।
হাসান-মেহদীদের দারুণ বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ইনিংসের এক বল বাকী থাকতে ১৪০ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। ৩৫ বলের ইনিংসে তিনি পাঁচটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ১৭ বলে ২২ রান করেছেন শেইফার্ড।
বাংলাদেশের হয়ে মেহদী ৪ ওভারে ১৩ রানে চারটি, হাসান মাহমুদ ৩.৫ ওভারে ১৮ রানে ২টি ও তাসকিন আহমদ ৪ ওভারে ২৮ রানে ২টি করে উ্ইকেট লাভ করেন।
এর আগে সৌম্য, জাকের, শামীম-মেহদী হাসানদের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ দল ১৪৭ রান তুলেছে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা বরাবরের মতোই হতাশা দিয়ে শুরু করে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১৫ রানেই সাজঘরে ফিরেন ওপেনার তানজীদ তামিম। ১১ বলে ৬ রান করেন টাইগার ওপেনার। তার বিদায়ের পর তিনে নামা লিটন দাস রানের খাতা খুলার আগেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে।
১৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে দলীয় ৩০ রানেই। ষষ্ট ওভারের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১১ বলে ৮ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে সৌম্য সরকার জুটি গড়েন জাকেরকে নিয়ে। দু’জনের জুটিতে বাংলাদেশ তুলে ৫৭ রান। দুই ছক্কা ও এক চারে ২৭ বলে ২৭ রান করে জাকেরের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি।
সঙ্গীকে হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৌম্য সরকারও। দলীয় ৯৬ পঞ্চম উইকেটে তিনিও ফিরেন প্যাভেলিয়নে্। তার আগে ৩২ বলে ৪৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার তিন ছক্কার সঙ্গে দু’টি বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছেন।
সৌম্যের বিদায়ে পর ষষ্ট উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিন পর দলে ফেরা শামীম হোসেন দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে দেড়শোর কাছাকাছ নিয়েছেন স্কোর। তিন ছক্কা ও এক চারে ১৩ বলে ২৭ রান করেছেন তিনি। মেহদী হাসান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ২৬ রানে। ২৪ বলের ইনিংসে দু’টি চারের সঙ্গে মেরেছেন এক ছ্ক্কাও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আকিল হোসেন ও ম্যাকেয় ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০