নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম ওয়ানডেতে ইনিংস বড় করতে পারেন নি সাকিব আল হাসানও। ফিরেছেন কোনো বাউন্ডারি না হাঁঁকিয়েই। আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁঁহাতি এই ব্যাটার। দলীয় ১০৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ নবি নিলেন দুর্দান্ত ক্যাচ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার সাকিব। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটি থামল ৩৫ রানে। ৩৪ বলে ১৪ রান করা এই বাঁহাতির বিদায়ে বিপদ বাড়ল টাইগারদের। এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফজলহক ফারুকীর করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে খোঁচা মেরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন তামিম। তবে ব্যাটে-বলে ভালো সংযোগ করতে না পারায় ব্যাটার কানায় লেগে উইকেটের পেছনে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ চলে যায়। সহজ ক্যাচ নিতে ভুল করেননি গুরবাজ।
এতে করে বাংলাদেশ দলের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৩০ রানের মাথায়। অধিনায়ক তামিম ২১ বল খেলে দুই বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এই নিয়ে চার বারের দেখায়, চার বারই ফজলহক ফারুকীর শিকারে পরিণত হয়েছেন তামিম। গত বছর এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই টানা তিন ম্যাচে এই আফগান পেসারের বলে আউট হয়েছেন তামিম।
তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি লিটন। মুজিব উর রহমানের খাটো লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে রহমান শাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। রহমতকে নড়াচড়াও করতে হয়নি। ৩৫ বলে ২৬ রানে ফিরলেন লিটন। ২ চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান তিনি। লিটনের বিদায়ের পরের ওভারেই ফিরেন শান্ত।
মোহাম্মদ নবির প্রথম বলেই সুইপ করে গিয়ে শান্ত ডেকে আনেন নিজের বিপদ। লেগ স্টাম্পে থাকা বল হাঁটু নামিয়ে সুইপ করতে যান তিনি। বল তাঁর ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট ফাইন লেগে। ১৬ বলে ১২ রান করে আউট শান্ত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post