নিজস্ব প্রতিবেদক:: পেসার রেজাউর রহমান রাজার দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগীয় দল টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগীয় দলকে সিলেট হারিয়েছে চার উইকেটের ব্যবধানে।
রংপুরের প্রথম ইনিংসে করা ১৫৮ রানের জবাবে সিলেট নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রান তুলেছিলো। পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা রংপুর ২২০ রানেই গুটিয়ে যায়। সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নামা সিলেট রাজার হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৫ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়।
তৃতীয় দিন সোমবার শেষ সেশনে ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা সিলেট শুরুতেই উইকেট হারায়। সাজঘরে ফিরে যান ৯ রান করা ওপেনার তুষার। দলীয় ৫০ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় অমিতের দল। ৯ রানে ফিরেন তিনে নামা মাইশাকুর রহমান। শেষ বিকেলে বিপর্যয় ঠেকাতে এরপরই সিলেট নাইটওয়াচম্যান হিসেবে সিলেট নামিয়ে দেয় পেসার রাজাকে। সেই নাইটওয়াম্যাচ রাজাই ম্যাচ জেতালেন সিলেটকে।
দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন রাজা ফিরেন প্যাভেলিয়নে। দলীয় ১৫৬ রানে, ইনিংসের ৫২তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন এই পেসার। তার আগে দলের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তিনি। ১১৭ বলের ধৈর্য্যশীল ইনিংসটি সাজিয়েছেন পাঁচ চার ও এক ছক্কায়। ছয় চারে ১০১ বলে ৪২ রান করেছেন ওপেনার পিনাক ঘোষ। রানের খাতা খুলতে পারেননি দিশান ও জাবেদ।
৮১ বলে তিন চারে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অমিত হাসান। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আসাদুল্লাহ আল গালিব। ৪৩ বলের ইনিংস তিনি সাজিয়েছেন দুই চার ও এক ছক্কায়। ৬৫ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় পেয়ে যায় সিলেট।
রংপুরের হয়ে মুগ্ধ ৩টি, রবিউল, নাঈম ও হাসিম ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
আগে ব্যাট করতে নামা রংপুরের ১৫৮ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা সিলেট বিভাগীয় দল প্রথম দিন শেষ করেচিলো কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৪ রান তুলে। তবে দ্বিতীয় দিন দলটি ৫৮.২ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলটির হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অমিত হাসান। ৫৭ রান করা এই ব্যাটার ১০৪ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ছয় চারে। দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও তৌফিক খান তুষার সংগ্রহ করেছেন ২৮ রান করে।
সিলেটের স্পিনার জাবেদ করেছেন ২৩ রান। ১৭ রান করেছেন অভিষিক্ত মুবিন আহমদ দিশান। এই তরুণ অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কাটা পড়েছেন রানআউটে। ১১ রান এসেছে মাইশাকুর রহমানের ব্যাট থেকে। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার।
রংপুরের হয়ে রবিউল হক ও আবু হাসিম ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
সিলেটের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নামা রংপুর তিন পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি। উইকেটে তীতু হতে পারেননি আকবর আলীদের কোনো ব্যাটারই। রাহী, রাজা-খালেদ তিনজনে মিলে তিন উইকেট করে নয় উইকেট তুলে নেন তারা। বাকী একটি উইকেট নেন আরেক পেসার তোফায়েল। তাতেই রংপুর ৬২.৩ ওভারে ১৫৮ রানেই শেষ হয়ে যায়।
ব্যাট হাতে রংপুরের হয়ে কিছুটা লড়াই করেন অধিনায়ক আকবর আলী। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন তিনি। খেলেন ৩৯ বল। হাঁকান পাঁচটি বাউন্ডারি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন খালিদ হাসান। ১০৩ বলের ইনিংসে দু’টি চার হাঁকিয়েছেন তিনি।
সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে রংপুরের ব্যাটারররা সুবিধা করতে পারেননি। ২১ রান করেছেন রিজওয়ান। ৭৯ বলের ইনিংসে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৩ রান করা রবিউল খেলেছেন ৩৭ বলে, মেরেছেন দুই চার। ২৫ বলে এক চারে ১১ রান করেছেন আবু হাশিম। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার।
সিলেটের হয়ে আবু জায়েদ রাহী ১৩.৩ ওভারে ৩৬ রানে ৩টি, খালেদ আহমদ ১৬ ওভারে ৪৫ রানে ৩টি, রেজাউ রহমান রাজা ১৬ ওভারে ৪৩ রানে ৩টি ও তোফায়েল ১১ ওভারে ১৬ রানে ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০