নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পারলেন না ইয়াসির আলি রাব্বিরা, পারলো না খুলনা টাইগার্স। শেষ ওভারে গিয়ে ৪ রানে হারলো দলটি। অপরদিকে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে জিতে টানা পাঁচ জয় সঙ্গী হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। অথচ আসরের শুরুতে টানা তিন ম্যাচে হেরেছিল দলটি।
কুমিল্লার দেওয়া ১৬৬ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে একেবারের শেষ বলে গিয়ে হারলো খুলনা। যেখানে কিনা এক ছয়ের প্রয়োজন ছিল। তবে মোসাদ্দেকের করা সেই বলে মাত্র এক রান নিতে পারেন রাব্বি। এই হারে শেষ চারের আশা নিভু নিভু করছে খুলনার।
ইনিংসের শুরুতে ধীর গতির রানের চাকার সাথে তামিম ইকবালের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় খুলনা। তবে এরপরই ৪৯ রানের এক জুটি গড়েন শাই হোপ ও অ্যান্ড্রু বালবার্নি। জুটি ভাঙার পর উইকেটে এসে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে বেশি সময় টেকেননি। ব্যর্থ হন আজম খান ও আজম খান।
উইকেটে এসে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেননি দলকে। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে থামে খুলনা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন বালবার্নি। ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন শাই হোপ। অধিনায়ক রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩০ রান। ১৩ বলে ২টি করে চার ও ছয়ের মারে মাহমুদুল হাসান জয়।
কুমিল্লার হয়ে নাসিম শাহ ২টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় মুস্তাফিজ ১টি, সমান ওভারে ১৯ রান খরচায় তানভীর ১টি উইকেট শিকার করেন। মোসাদ্দেক ১টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনই ফিফটি হাঁকিয়েছেন।
ইনিংসের শুরুটা খানিকটা ধীর গতিতে করলেও, উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রান তুলেন লিটন ও রিজওয়ান। দুজনের সেই জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫০ রান করে যান লিটন। দ্বিতীয় উইকেট ৬০ রান যোগ করেন রিজওয়ান ও চার্লস।
দলীয় ১২৫ রানে চার্লস যখন ফিরছিলেন, তখন তার নামের পাশে ২২ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ রান। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি কুমিল্লাকে। ২৩ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান ও খুশদিল শাহ।
শুরুর দিকে ধীর গতিতে খেললেও, শেষ দিকে হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন রিজওয়ান। ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করে। খুশদিল শাহ ১১ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন ওয়াহাব রিয়াজ ও নাহিদুল ইসলাম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post