নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকায় বিপিএলের শেষ পর্ব শুরুর আগে টেবিল টপার ছিলো রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। এবারের বিপি্এলের সবচেয়ে শক্তিশালী এই দুই দল। টানা আট ম্যাচ জিতেছে রাইডার্সরা। তামিম, মুশফিক-রিয়াদদের বরিশালও ছিলো জয়ের রথে। অথচ প্লে-অফের সমীকরণে বদলে গেছে সব কিছুই।
বিপিএলের আলোচিত-সমালোচিত ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগাং কিংসই কিনা বরিশালকে হারিয়ে দিলো। তামিম ইকবালের দলকে ২৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে কিংসরা টপকে গেছে রংপুরকেও। টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে মিথুনের দল। নুরুল হাসান সোহানের রংপুরকে নেমে যেতে হয়েছে তিনে। টেবিল টপার বরিশাল।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আগে ব্যাট করা চিটাগাং কিংস পারভেজ হোসেন ইমনের দারুণ ইনিংসে ২০৬ রান তুলেছিলো। জবাবে খেলতে নামা বরিশাল ডেভিড মালানের হাফ সেঞ্চুরির পরও ১৮২ রান তুলতে পেরেছে।
২০৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বরিশালের হয়ে শুরুটা ভাল করতে পারেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুন্য রানেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে। প্রথম ওভারের শেষ বলে কোনো রান সংগ্রহের আগেই এই ওপেনারকে হারায় বরিশাল। তার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয়ও ফিরেন দ্রুত। দলীয় ১৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। ১১ বলে ৯ রান করেন হৃদয়।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ডেভিড মালান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের দশম ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিকের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। দুই চার ও এক ছক্কায় ২২ বলে ২৪ রান করেন অভিজ্ঞ এই তারকা। তার বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন ডেভিড মালান। জয়ের আশা তৈরি হয় বরিশালের।
তবে ১৪তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১২২ রানে মালান বিদায় হলে বরিশালের হারের শঙ্কা জাগে। ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে ২৪ বলে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন এই বিদেশী। দু’টি করে চার ও ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলের হার এড়াতে পারেননি। সাত উইকেটে ১৮২ রানে থামে দলটি।
চিটাগাং কিংসের হয়ে বিনুরু ফার্নান্দো ও আলিস আল ইসলাম দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামা চিটাগাং কিংস দারুণ শুরু পায়। দুই ওপেনার নাফা ও ইমন ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। ৬.৫ ওভার স্থায়ী জুটিতে দু’জনে তুলেন ৫৮ রান। ১৯ বলে ২২ রান করা নাফার বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। উদ্বোধনী সঙ্গীকে হারানোর পর ইমন তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়েও বড় জুটি গড়েন। তুলে নেন আরো ৭০ রান। ইনিংসের ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১২৮ রানে ইমনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। কিংসের দেশী এই তারকা ৪১ বলে ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। হাঁকিয়েছেন আটটি ছক্কা ও একটি চার।
ইমনের বিদায়ের পর গ্রাহাম ক্লাকও ফিরেন প্যাভেলিয়নে। করেন ২১ বলে ২৬ রান। এক বাউন্ডারির ইনিংসে হাঁকান দুই ছক্কা। এরপর অধিনায়ক মিথুন ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ৪ বলে এক রান করে ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৬৬ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৩ বলে ৪২ রানে হায়দার আলী ও তিন চার, দুই ছক্কায় ১২ বলে ৩০ রানে শামীম হোসেন অপরাজিত থাকেন। চিটাগাং কিংস থামে চার উইকেটে ২০৬ রানে।
বরিশালের হয়ে তাইজুল দু’টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০