নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে আজ বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ১৭ রানে হারিয়েছে আফগানরা। চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করে বৃষ্টি বাঁধায় ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৬৯ রান করে স্বাগতিকরা। নতুন লক্ষ্য ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে দু’দফা বৃষ্টির হানা দেয় আফগানদের ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করতে না পারায় বৃষ্টি আইনে সফরকারীরা ১৭ রানে ম্যাচ জেতে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান তুলে আফগানিস্তান। তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ২২ রানে তিনি ফেরান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। সাকিবের বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন আফগান ব্যাটার। সফরকারীদের দ্বিতীয় উইকেটটি নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৮ রানে রহমত শাহকে আউট করেন তিনি। রহমত আউট হন দলীয় ৭০ রানে। এরপর স্কোর বোর্ডে আর ১৩ রান যোগ হলে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে।
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ২১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান তোলার পর বৃষ্টিতে শেষ হয় খেলা। ১৭ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল আফগানরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী ৮ জুলাই, একই ভেন্যুতে। এর আগে টস হেরে আজ ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ পায় মান রক্ষার পুঁজি। লড়াকু ফিফটি করেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটাররা।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা ইনিংস বড় করতে পারেন নি। হাল ধরতে পারেন নি আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসান মিরাজরা। ব্যাটারদের যাওয়া আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি হাঁকান হৃদয়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটির দেখা পান এই ডানহাতি ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে লিটন দাসের ব্যাটে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ৩০ রানে। ১৩ রান করে তামিম ইকবাল উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন ফজলহকের বলে। এই নিয়ে টানা চতুর্থবার তামিমকে আউট করলেন এই বাঁহাতি পেসার। এরপর দলীয় ৬৫ রানে ফিরেন আরেক ওপেনার লিটন দাসও। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করেন তিনি।
ওয়ান ডাউনে নেমে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। মোহাম্মদ নবির বলে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়ার আগে করেন ১২ রান। ইনিংস বড় করতে পারেন নি সাকিব আল হাসানও। ফিরেন কোনো বাউন্ডারি না হাঁঁকিয়েই। আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁঁহাতি এই ব্যাটার। সাকিবের পরই আফগানদের উইকেট বিলিয়ে আসেন মুশফিক। রশিদ খানের বলে আলগা শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
মুশফিকের পর আফিফ হোসেনও ব্যর্থ হয়েছেন। রশিদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি। ৮ বলে ৪ রান করে তিনি আউট হলেন দলকে আরও বিপর্যয়ে ঠেলে। এরপর মিরাজকে হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ। এবার আর পারলেন না দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে তিনি। ফারুকির রাউন্ড দা উইকেটে করা লেংথ বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকে। মিরাজ চেষ্টা করেন পুল করতে। কিন্তু পারেননি ব্যাটে-বলে করতে। বল লাগে পায়ে। ২৩ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি।
শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামা তাসকিন আউট হয়েছেন ৭ রান করে। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই টিকেছিলেন হৃদয়। ৬৭ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। যদিও ৫০ পেরোনোর দুই বল পরই ফারুকির বলে রহমানুল্লাহর গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। শেষ জুটিতে মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ মিলে যোগ করেন ৫ রান। তাতে করে শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের হয়ে ফারুকি ৩ আর রশিদ ও মুজিব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post