নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রাম টেস্টে আসলে বাংলাদেশ ক’জন বোলার নিয়ে খেলছে? প্রশ্নটা উঠতে পারেই। রান পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে থাকা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লড়াই যে করছেন তাইজুলই। সফরকারীরা দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি উইকেট হারিয়েছে। আর সবক’টি উইকেটই নিলেন তাইজুল। প্রথম দিনের দুই উইকেটের সঙ্গে আজ সকালের সেশনে আরো তিন উইকেট। তাইজুলের পাঁচ শিকারের পরও প্রোটিয়ারা লাঞ্চে গেছে ৪১৩ রান করে। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে মার্করামের দল থামবে কখন? ১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা কি পারবেন তাদের থামাতে?
ব্যাটিংয়ে নামা সাউথ আফ্রিকা শুরুটাও ভালো করে। তবে অধিনায়ক নিজে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে মাত্র ৩৩ রান করে তিনি ফিরেন সাজঘরে। ৫৫ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন দু’টি। সফরকারী অধিনায়ক যখন সাজঘরে ফেরেন দলের রান তখন ১৭ ওভার শেষে ৬৯। তাইজুলের শিকারে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
প্রথম উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে রেকর্ড গড়া জুটি। জোর্জি ও স্টাবিস ৩৪২ বলে ২০১ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের বোলাররা কেবল বোলিং করেই যেতে থাকেন। একের পর এক ওভার শেষ করছিলেন তারা, আর সফরকারীরা দুই সেঞ্চুরিয়ান সাবলীল ব্যাট করেই যাচ্ছিলেন। নিষ্প্রাণ বোলিংয়ে উইকেট শুন্য থাকতে থাকে স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদ, নাহিদ রাহান, মেহেদী হাসান মিরাজদের যেনো কিছুই করার ছিলো না। উইকেটের আশায় অধিনায়ক শান্ত বল তুলে দেন মুমিনুলের হাতেই। তবুও কোনো কাজ হচ্ছিলো না।
অবশেষে সেই তাইজুলেই ভাঙে অতিথিদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ইনিংসের ৭৪তম ওভারের চতুর্থ বলে সেঞ্চুরিয়ান স্টাবিসের ষ্ট্যাম্প ভেঙে দেন তাইজুল। ১৯৮ বলে ১০৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া তারকা। ছয় চার আর তিন ছক্কায় সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফিরেন, প্রোটিয়াদের দলীয় রান তখন ২৭০।
স্টাবিসের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে ফেলেন জোর্জি ও ডেভিড। ১১৬ রানের সেই জুটিও ভাঙতে হয় তাইজুলকে। আজ সকালের সেশনে ইনিংসের ৯৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড বেডিংহামকে ফেরান তাইজুল। দলীয় রান যখন ৩৮৬, তখনি সাজঘরে ফেরেন ডেভিড। তবে তার আগেও হাঁকিয়ে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দুই চার ও চার ছক্কায় ৭৮ বলে খেলেন ৫৯ রানের এক ইনিংস।
বাংলাদেশের বড় বাঁধা হয়ে উঠেন সেঞ্চুরিয়ান জোর্জি। ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাটা প্রোটিয়া ওপেনারকেও থামাতে হয় তাইজুলকে। ইনিংসের ১০১তম ওভারের শেষ বলে ১৭৭ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রোটিয়াদের রান ততোক্ষণে ৩৯১। দুর্দান্ত হয়ে উঠা তাইজুল এরপরই ভেরেইনাকে দিয়ে ১৪তম ফাইফার তুলে নেন। ৩ বল খেলা ভেরেইনা রানের খাতাও খুলতে পারেননি। ইনিংসের ১০৩তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় রান ৩৯১ থাকতেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান তিনি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪১৩ রান। ১২ রানে মুল্ডার ও ১১ রানে রিকল্টেন অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল একাই পাঁচ’টি উইকেট নিয়েছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০