স্পোর্টস ডেস্ক:: এশিয়া কাপে সবার শেষে দল দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা একঝাঁক তারকাকে ছাড়া দল ঘোষণা করেছে। ইনজুরিতে জর্জরিত লঙ্কানরা দল ঘোষণা করে শেষ মূহুর্তে। সেই ভঙ্গুর লঙ্কানরাই বাংলাদেশকে অলআউট করে দিয়েছে মাত্র ১৬৪ রানে।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গেছে। এই রানের মধ্যে আবার ৮৯ রানই শান্তর।
টাইগারদের দুই ওপেনার অভিষিক্ত তানজিদ সাকিব ও নাইম শেখ নামেন ইনিংস উদ্বোধন করতে। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই শুন্য রানে তামিমের বিদায়ে শুরু উইকেট পতনের। অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। দলীয় ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সাকিবের দল।
সঙ্গী ওপেনারের দেখানো পথেই হাঁটেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ। ইনিংসের অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ২৫ রানে তিনিও প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। ২৩ বলে ১৬ রান করনে। তাতে আবার তিন বাউন্ডারির মার। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক সাকিব শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তিনিও ফিরেন ব্যর্থ হয়েই। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৩৬ রানেই সাজঘরে বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১১ বলে ১ চারে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
Najmul Hossain Shanto- 89 (122) 4s*7, 6s*0
Bangladesh team- 164/10 (42.4)@NHShanto99 Lonely warrior for Bangladesh🙏#Cricket #AsiaCup2023 #BangladeshvsSriLanka #snpsports24— SNPSports24 (@SnpSports24) August 31, 2023
চতুর্থ উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন শান্ত। তাদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দল। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৫৯ রান। এরপরই ছন্দপতন। দলীয় ৯৬ রানে হৃদয়ের বিদায়ের পরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। ৪১ বলে ২০ রান করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফিরেন সাজঘরে।
মুশফিক-মিরাজ, মেহদীরা কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি শান্তকে। দলীয় ১২৭ রানে পঞ্চম উইকেটে সাজঘরে ফিরেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ২২ বলে ১৩ রান করেন তিনি। শান্তর সঙ্গে গড়েন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রানের জুটি। এরপরই পুরোদমে পথ হারায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারের তৃতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজ রানআউটের শিকারে ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ১৪১ রানে ষষ্ট উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শা্ন্তর সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে ভাঙে তাদের জুটি। সপ্তম উইকেটে মেহদীকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। সফল হননি। ইনিংসের ৪১তম ওভারের পঞ্চম বলে ১৬ বলে ৬ রান করে মেহদী এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন। এরপরই থেমে যায় ইনিংস সর্বোচ্চ সংগ্রাহক শান্তর ব্যাট। দলীয় ১৬২ রানে অষ্টম উইকেটে থিকসেনা ভেঙে দেন তার স্ট্যাম্প। ১২২ বলে সাত চারে ৮৯ রানে থামেন তিনি। বাংলাদেশ থেমে যায় ১৬৪ রানে।
লঙ্কানদের হয়ে মাতিশা পাতিরানা ৪টি, মাহেশ থিনসেনা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করবে এশিয়া কাপের সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post