স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশ-ভারত নারী দলের মধ্যকার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ টাই হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের ম্যাচটি একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে অমীমাংসিত থেকে যায়। ১-১ সমতায় শেষ হয় তিন ম্যাচের সিরিজটিও।
তবে ম্যাচ বা সিরিজ ছাপিয়ে শেষ মূহুর্তে আলোচোনায় ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রিত কৌরের অক্রিকেটীয় আচরণ। ম্যাচের মাঝে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে ব্যাট দিয়ে সজোরে স্টাম্পে আঘাত করেন তিনি। যা ক্রিকেটীয় আইনের পরিপন্থী।
শুধুমাত্র সেটি করেই ক্ষান্ত হননি হরমনপ্রিত। পরবর্তীতে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সরাসরি আম্পায়ারদের দায়ী করে অভিযোগ করেন। যেটিও কিনা সাধারণত দেখা যায় না। এর বাইরে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলার সময় তিনি কটাক্ষ করে আম্পায়ারদেরকেও ডেকে এনে ফটোসেশনে অংশ নিতে বলেন।
এমন সব কাণ্ড ঘটিয়ে বিতর্ক আর সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন হরমনপ্রিত। তার এমন কাণ্ডের জন্য শাস্তি আসতে যাচ্ছে, সেটি এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। সেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে অপরাধ অনুযায়ী খুব বেশি শাস্তি দেওয়া হয়েছে না বলেই ধরা হচ্ছে।
ম্যাচ ফি’র ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে হরমনপ্রিতকে। একইসাথে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে মাঠের ঘটনার জন্য। পরবর্তীতে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মন্তব্যের কারণে আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা এবং আরও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের বর্তমান অধিনায়কের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাবেক অধিনায়ক আঞ্জুম চোপড়াও।হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যখন আগ্রাসনের আবহ শেষ হয়ে যাবে এবং সে ঠাণ্ডা হবে, আমি নিশ্চিত, সে পেছন ফিরে তাকিয়ে অনুভব করবে যে, ভিন্নমত প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল তার। অসন্তুষ্টি ফুটিয়ে তুলতে কোনো সমস্যা নেই। তবে মূল ব্যাপার হলো, এটা কখন ও কীভাবে করা যায়। ভাষায় প্রকাশের ক্ষেত্রেও আরও সাবধানী হওয়া উচিত ছিল তার।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post