স্পোর্টস ডেস্ক:: প্রায় তিন দশক থেকে আইসিসির বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান। ২৯ বছরেরও বেশি সময় পর এবার পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়ােজন করছে। নিরাপত্তার অভাবে দেশটিতে এতোদিন বড় কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি আইসিসি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে দিচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। মাঠ এবং মাঠের বাইরে নিরাপত্তার প্রশ্ন নিজেদেরকে ‘নিরাপদ’ প্রমাণের সর্বোচ্চ চেষ্টায় পাকিস্তান। ক্রিকেটার, কর্মকর্তা, অফিসিয়াল থেকে শুরু করে দর্শকদের নিরাপত্তায় তাই কোনো ছাড় দিচ্ছে না দেশটি। ১৩ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যুগুলো।
আয়োজক শহর লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও পাঞ্জাবের নিরাপত্তায় ১৩ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য থাকছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হবে স্নাইপার। থাকছে ডলফিন স্কোয়াড। পাঞ্জাবের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) উসমান আনোয়ার জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো শহর।
জানা গেছে, লাহোরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে ৮ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ১২ জন সিনিয়র অফিসার, ৩৯ জন ডিএসপি, ৮৬ জন পরিদর্শক, ৭০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৬ হাজার ৬৭৩ জন কনস্টেবল এবং ১২৯ জন নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে শহরটিতে। অন্য দিকে রাওয়ালপিন্ডিতে দায়িত্ব পালন করবেন ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। ৬ জন সিনিয়র অফিসার, ১৫ জন ডিএসপি, ৫০ জন পরিদর্শক, ৫০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৪ হাজার কনস্টেবল এবং শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য আছেন এই শহরে।
গণমাধ্যমকে পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক জানান, খেলোয়াড়দের আবাসস্থল, যাতায়াত পথ ও স্টেডিয়ামের আশপাশে সার্চ, সুইপ, কম্বিং ও গোয়েন্দাভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ম্যাচ চলাকালে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্টেডিয়াম, হোটেল ও খেলোয়াড়দের রুটে আধুনিক ক্যামেরা প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি করবে পাঞ্জাব সেফ সিটি কর্তৃপক্ষ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০