স্পোর্টস ডেস্কঃ বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক দিক দিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আর এর অন্যতম কারণ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেট বিশ্বে ভারত সবচেয়ে বড় বাজার।
আর সেই ফায়দা আইপিএলের পাশাপাশি জাতীয় দলেও নেওয়ার চেষ্টা করছে বিসিসিআই। জাতীয় দলের খেলা দেখানোর জন্য মিডিয়াস্বত্ব বিক্রি করতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ২০২৩-২৭ সাল পর্যন্ত ঘরের মাঠের খেলাগুলোর জন্য ব্রডকাস্ট থেকে বিপুল অর্থ আয় করতে চায় বিসিসিআই।
২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ঘরের মাঠে সব মিলিয়ে ২০টি টেস্ট, ২১টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে ভারত জাতীয় দলের। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা দলের দুই বার করে ভারত সফরের কথা রয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, উইন্ডিজের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে খেলা আছে মেন ইন ব্লু’দের।
সব মিলিয়ে ৭২ ম্যাচের জন্য ১২ হাজার কোটি রুপিতে মিডিয়াস্বত্ব বিক্রি করতে চায় বিসিসিআই। সবশেষ আইপিএলের মডেল অনুযায়ী টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আলাদা স্বত্ব বিক্রি করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালে ৬১৩৮ কোটি রুপিতে পাঁচ বছরের জন্য সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করেছিল বিসিসিআই। এবার সেটির দ্বিগুণ আশা করছে বোর্ড।
তবে বিশেষজ্ঞরা এটিকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ের বলছেন। এত পরিমাণ অর্থ আয় হবে না বলে মনে করেন তারা। সর্বোচ্চ ১০ হাজার কোটি রুপি আয় করতে পারবে বোর্ড। এর পেছনে কিছু কারণও রয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন আগ্রহ হারাচ্ছে মানুষ। বিশ্বকাপ থাকায় বাড়তি উত্তেজনা ছড়ালেও, এই ফরম্যাটের ওপর থেকে চোখ সরিয়ে নিচ্ছে সবাই। এছাড়া ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ভবিষ্যত কী হবে, সেটাও বড় প্রশ্ন। দুজনের জন্যও দর্শক কমে যাবে অনেক।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ওয়ানডে আর দর্শক টানছে না। এটা সত্যি, বিশ্বকাপে অনেক উন্মাদনা থাকবে, ভারতে হচ্ছে বলে দর্শকও থাকবে। তবে সব মিলিয়ে এটি বিশালভাবে দর্শক টানতে পারছে না। পরের চার বছরে দেশের মাটিতে ২১টির বেশি ওয়ানডে, বিসিসিআইয়ের তাই ১০ হাজার কোটির বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।’
এদিকে এক ব্রডকাস্টার এটিকে বাড়াবাড়ি আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমাদেরকে বুঝতে হবে, বিসিসিআই যে সংখ্যাই ঠিক করুক না কেন, এটি চার-পাঁচ বছরের জন্য। ফলে, বিশ্বকাপের পরবর্তী সময়টাও বিবেচনায় রাখতে হবে।’
‘বিরাট-রোহিতরা তিন ফরম্যাটই চালিয়ে যাবে কি না, সেটি তর্কসাপেক্ষ। এ দুই তারকাকে ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই দর্শক কমে আসবে। যদি ধরে নেওয়াও হয় ২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তারা খেলবে, এরপরও একটা পরিবর্তন আসবে। ফলে ১২ হাজার কোটি প্রত্যাশা কিছুটা বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।’ যোগ করেন সেই ব্রডকাস্টার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post