স্পোর্টস ডেস্ক:: দেশের ক্রিকেটে আলোচিত ফিক্সিং সন্দেহের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বুধবার শাইনপুকুরের ম্যাচে অদ্ভুত ভাবে আউট হওয়া দুই ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির ও রহিম আহমদকে তদন্তের জন্য জেরা করেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকুস)। জেরার পর এই দুই ক্রিকেটারকে একাডেমি মাঠে ডেকে নিয়ে আগের দিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে বলা হয়।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে শাইনপুকুরের রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরের স্ট্যাম্পিং আউটের ঘটনা অনেককেই অবাক এবং ক্ষুব্ধ করেছে। সমালোচনার ঝড় বইশে দেশের ক্রিকেটে। সাবেক ক্রিকেটার, কোচ থেকে শুরু সকলে তাদের আউট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং তাদের দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) দুই ক্রিকেটারকে তদন্তের জন্য তলব করে।
আজ দুপুরে মিরপুরের একাডেমি মাঠে আকসুর প্রধান মেজর (অব.) মো. রায়ান আজাদ দুই ক্রিকেটারকে আগের দিনের মতো আউটের দৃশ্য পুনরাবৃত্তি করতে বলেন এবং সেটা ভিডিওতে ধারণ করা হয়। রায়ান আজাদ নিজেই বল ছুড়ে দেন, এবং তাদেরকে আউট হতে বলেন,। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই তদন্তের পর দুই ক্রিকেটারকে বিসিবির মূল কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেট বের্ড। বিসিবি জানিয়েছে, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিসিবি বলছে “ক্রিকেটের ন্যায্যতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে বিসিবি আপসহীন। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি বা খেলার নৈতিকতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে।”
ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসুর প্রধান মেজর রায়ান আজাদ ফেসবুকে রসিকতা করে ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, “বোকা না চালাক আমার মত! চা পানের দাওয়াত রইল।” তাঁর এই মন্তব্যও দ্রুত ক্রিকেট মহলে আলোচিত হয়।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০