নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নিজেদের পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে দলটি। ফিফটি হাঁকিয়ে দারুণ ইনিংস খেলেও, দলকে জেতাতে পারেননি মুমিনুল হক। ৫০ ওভারের পরিবর্তে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ৪৯ ওভারে।
সাভারের বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ৩৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ও ইমরানউজ্জামানের ব্যাটে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় রূপগঞ্জ। ৪ বাউন্ডারিতে ২৯ বলে ২৪ রান করা তান্নার বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। এরপর ৩১ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও আরেক ওপেনার ইমরানউজ্জামান। ২৫ রান করে ইমরান আউট হলেই বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ।
এরপর নিয়মিত বিরতি দিয়ে একেকটি উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এক প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকা মুমিনুলও একটা সময় ফিরে যান। উইকেট হারানোর সাথে সাথে রানের চাকাও ধীর হয়ে আসে রূপগঞ্জের। শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে মাত্র ২০৮ রানে অলআউট হয়ে পড়ে দলটি। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন মুমিনুল। ৯৬ বলের ইনিংসে দুই বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি। আসরে ছয় ম্যাচ খেলে মুমিনুলের এটি চতুর্থ ফিফটি।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রেজাউর রহমান রাজা, করিম জানাত ও রুবেল হোসেন ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের শুরুতে প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও শাহদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় দল। তবে দ্রুততম সময়ে এই দুই ওপেনার ফিরে যান। টপ অর্ডারে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আল আমিন জুনিয়রও। রান পেলেও, বড় স্কোর গড়তে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন।
পঞ্চম উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও ইয়াসির আলি রাব্বি। ফিফটি হাঁকানো নাসিরের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। এরপর দলীয় তিনশ পূরণের আগে আরও ২ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ইয়াসির। অষ্টম উইকেটে তামিম ইকবালকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন ৬৩ রানের জুটি। এই জুটি তিনশ পার করা বিশাল সংগ্রহ এনে দেয় প্রাইম ব্যাংককে।
ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হয়ে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ইয়াসির। খেলেন ৯৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার ৭১ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে। ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করেন নাসির। ৮ বাউন্ডারিতে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন ওপেনার দিপু। অধিনায়ক মিঠুন ৩৭ ও ওপেনার নাবিল করেন ৩০ রান। আর শেষ দিকে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তাইজুল।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে আলাউদ্দিন বাবু শিকার করেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট লাভ করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও ইয়াসিন আরাফাত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post