নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০০৩ সালে পাকিস্তানের মুলতানে একদম কাছে গিয়েও পুড়তে হয়েছিলো ১ উইকেটে হারের যন্ত্রণায়। সেদিন চোখে জল নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজনরা। এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে ঘরে-বাইরে অনেকগুলো টেস্ট খেললেও বাংলাদেশের জয় ছিলো অধরা। ২১ বছর পর অবশেষে রাওয়ালপিন্ডিতে এলো ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সাদা পোশাকের লড়াইয়ে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারালো বাংলাদেশ।
২০০৩ সালে মুলতানে হৃদয়ভাঙার গল্পটা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়েছে দীর্ঘ দিন। অবশেষে পাকিস্তানেই এসে সেই দায় মেটাল বাংলাদেশ। ‘০৩-এ টাইগারদের হৃদয় ভেঙে পাকিস্তানকে রক্ষা করেছিলেন ইনজামাম উল হক। দুই দশকেরও বেশি সময় পর এবার রাওয়ালপিন্ডিতে টাইগারদের গর্জন! প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলামের লড়াকু ৯৩ রানের পর মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশ পায় ৫৬৫ রানের বড় সংগ্রহ। এরপর সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান, দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানেই। তাতে বাংলাদেশে সামনে আসে ৩০ রানের লক্ষ্যের আনুষ্ঠানিকতা। যেটি বাংলাদেশ পেরিয়ে গেল কোনো উইকেট না হারিয়েই।
টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে ১২ হারের সঙ্গে একমাত্র প্রাপ্তি ছিল একটি ড্র। এবার টাইগাররা জিতল ১০ উইকেটে। দেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের সপ্তম জয়। ৩০ রানের লক্ষ্য ৬.৩ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১ চারে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন সাদমান। ২৬ বলে তিন চারে ১৫ রান করেন জাকির। তার ব্যাট থেকেই আসে জয় সূচক বাউন্ডারি। এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ, লিড পায় ১১৭ রানের। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০