স্পোর্টস ডেস্কঃ আইপিএলে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল চেন্নাই সুপার কিংস। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৬৩ রানে জিতেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। চিপকে আগে ব্যাট করে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। রান তাড়ায় ১৪৩ রানে থামে শুভমান গিলের দল।
চেন্নাইয়ের জার্সিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পেলেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। গুজরাটের ২ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। আগের ম্যাচে তিনি ৪ উইকেট শিকার করে জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। এদিকে মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গাইকোয়াড় ও রাচিন রবীন্দ্র উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৬২ রানের।
অধিনায়ক গাইকোয়াড় ও রাচিন দুজনই ৪৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তবে রাচিন খেলেছেন মাত্র ২০ বল, হাঁকান ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। দেখেশুনে খেলা গাইকোয়াড় ৩৬ বল মোকাবেলায় ৫টি চারের সাথে ছক্কা হাঁকান ১টি। আজিঙ্কা রাহানে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও শিভম দুবে রানের চাকা সচল রাখেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ২৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে ২টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
সামির রিজভি দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে বিদায় নিলে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন ড্যারিল মিচেল। জাদেজা ৩ বলে ৭ ও মিচেল ২০ বলে ২৪ রান করে ছিলেন অপরাজিত। ৬ বলে ১৪ রান করেন রিজভি। গুজরাটের পক্ষে রশিদ খান দুটি উইকেট শিকার করলেও বল হাতে ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৪৯ রান খরচ করেন তিনি। একটি করে উইকেট পান সাই কিশোর, স্পেন্সার জনসন ও মোহিত শর্মা। উমেশ যাদব ছিলেন বেশ খরুচে। ২ ওভার বল করে ২৭ রান দেন এই পেসার।
চেন্নাইয়ের দেয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি গুজরাটের। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে শুভমান গিলের দল। দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং ঋদ্ধিমান সাহাকে সাজঘরে ফেরান দীপক চাহার। আগের ম্যাচে পঞ্চম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে গুজরাটের বিপক্ষে তাকে আনা হয় দ্বিতীয় ওভারে। গতদিন নিজের প্রথম ওভারে চমক দেখালেও এদিন শুরুটা ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের তারকা পেসার। প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান দিয়ে মেলেনি কোনো উইকেট।
মুস্তাফিজের শুরু ভালো না হলেও বাকিরা দারুণ প্রতিরোধ দেখিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলার এবং সাই সুদর্শন বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা হতে দেননি ভারতীয় পেসার তুষার দেশপান্ডে। মিলারকে ফেরানোর পর দ্রুত সময়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকেও ফেরান তিনি। বাংলাদেশ সিরিজে ইনজুরিতে পড়া মাথিশা পাথিরানা এই ম্যাচ দিয়েই ফিরেছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। তবে ফেরাটা ভালো হয়েছে এই পেসারের। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে সাই সুদর্শনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছেন তিনি।
গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে সুদর্শনের ব্যাট থেকে। মিলার এবং ঋদ্ধিমান করেছেন সমান ২১ রান। তবে এছাড়া কেউই ২০ রানের বেশি করতে পারেনি। প্রথম স্পেলে ভালো করতে না পারলেও শেষদিকে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৭ তম ওভারে দুর্দান্ত স্লোয়ারে সাজঘরে ফেরান আফগানিস্তানের বিধ্বংসী ব্যাটার রশিদ খানকে। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন তিনি। নিজের শেষ ওভার এবং ম্যাচের ১৯তম ওভারে এসেও অসাধারণ বোলিং করেছেন ফিজ। গুজরাটের শেষ ব্যাটার রাহুল টেওয়াটিয়াকে দারুণ এক কাটারে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post