স্পোর্টস ডেস্কঃ লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ইন্টার মায়ামি। এফসি ডালাসের বিপক্ষে আজ টাইব্রেকারে জিতেছে টাটা মার্তিনোর দল। ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের খেলা ৪-৪ গোলে ড্র ছিল। আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি ম্যাচে জোড়া গোলে দলকে উদ্ধার করেন।
বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসির দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক গোলে ম্যাচের শেষদিকে সমতায় ফেরে মায়ামি। এরপর টাইব্রেকার ভাগ্যে ৫-৩ গোলে জিতে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে মেসির দল। টয়োটা স্টেডিয়ামে হেরে যাওয়া ম্যাচ শেষে ডালাসের কোচ নিকো এস্তেভেজ জানান অতিমানবীয় মেসিতেই হেরে গেছে তার দল।
এস্তেভেজ বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি। সত্যি, আমরা তাদের খুব কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিলাম। আমি মনে করি, এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। সবাই দেখেছে, কী হয়েছে। ওই জায়গায় মেসির একটা ফ্রি–কিক অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পেনাল্টির মতো।’
ম্যাচটি ছিল মায়ামির জার্সিতে মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। নতুন লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমবার খেলতে নেমেই গোলের দেখা পান সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। ডালাসের বিপক্ষে ম্যাচের ৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মায়ামি ডিফেন্ডার জর্ডি আলবা। সেখান থেকে ডি-বক্সের বাইরে দাঁড়ানো মেসিকে বল দেন তিনি। আর বল পেয়েই বাঁ পায়ের শট নেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। দূর থেকে নেয়া মেসির ওই শটটি জালে জড়াতে বেশি সময় লাগেনি। গোলরক্ষকের ঠেকানোর সাধ্য ছিল না শটটি।
কিন্তু এরপর তিনটি গোল হজম করে দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ৩৭ মিনিটে ডালাসের মিডফিল্ডার ফ্যাকুন্ডো কুইগনন গোল করলে ১-১ সমতা ফেরে ম্যাচে। সমতায় ফিরে যেন উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ডালাস। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। জেসুস ফেরেইরার কাছ থেকে বল পেয়ে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন বার্নার্ড কামুঙ্গো।
৬৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় ডালাস। ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া অ্যালান ভেলাস্কোর ফ্রিকিক গোল মুখে সৃষ্ট জটলার সামনে ড্রপ করে সরাসরি জালে প্রবেশ করে। উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাগতিক সমর্থকরা। তবে তাদের উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় নি। বদলি নামা বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি দ্রুতই মায়ামিকে লড়াইয়ে ফেরান। মেসির বাড়ানো বল ধরে আলবা গোলমুখে দিলে কাছ থেকে নেওয়া শটে জালে জড়িয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। তিন মিনিট পরে নিজের জালে বল জড়িয়ে খেলা কঠিন করে ফেলেন রবার্ট টেলর। ডালাস এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে। কিন্তু এরপর দেখা যায় মেসি ‘ম্যাজিক’!
৮০ মিনিটে ম্যাচে ফিরে আসে মায়ামি। বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া মেসির ফ্রিকিক হেড দিয়ে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন মার্কো ফারফান। এরপর পাঁচ মিনিট পর ঠিক অপর প্রান্তে ফ্রি কিক পায়। এবার মেসির শট সরাসরি লক্ষ্যভেদ হলে সমতায় ফেরার উল্লাসে মাতে মায়ামি। দারুণ ফ্রি-কিকে মায়ামিকে ৪-৪ সমতায় নিয়ে আসেন মেসি। এরপর টাইব্রেকার ভাগ্যে ম্যাচ জিতে নেয় মায়ামি। টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নেন মেসি। অনায়াস এক শটে গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান জালে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post