নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের লড়াই। তবে পুরোনো জৌলুস নেই। আর তাই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) খুব বেশি আলোচনা, সরগরম নেই আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াইয়ে। তবে সেসব বেশ রোমাঞ্চই ছড়িয়েছিল আসরের সুপার লিগের ম্যাচ।
আর সেখানে শেষ পর্যন্ত চওড়া হাসি আবাহনীর। মোহামেডানকে শেষ ওভারে গিয়ে ৮ রানে হারিয়েছে আকাশী-নীল শিবির। যেখানে অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে ম্যাচ জয়ের নায়কের ভূমিকায় আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাহিদুল অঙ্কন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ফিফটি হাঁকিয়ে চেষ্টা চালালেও, জয় ছিনিয়ে আনতে পারেননি।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আবাহনীর দেওয়া ২৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ১২ রানেই সৌম্য সরকার, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও দলের বিদেশি তারকা লঙ্কান কামিন্দু মেন্ডিসের উইকেট হারিয়ে বসে মোহামেডান। এর মধ্যে দুই বাউন্ডারিতে শুরুটা ভালো করা সৌম্যের আউট নিয়ে আছে বিতর্ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আরিফুল ইসলাম মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে তুলে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। এরপর ৩০ রান করে আরিফুল বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে অঙ্কন গড়ে তুলেন ৮৭ রানের জুটি। যে জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে মোহামেডান। সেঞ্চুরির পথে থাকা অঙ্কন ৮৮ রান করে বিদায় নিলে সেই জুটিও ভাঙে। তার ১১৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছয়ের মারে। দলীয় দুইশ রান পূরণের আগে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহও। তিনি ৬৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন।
শেষ দিকে মোহামেডানকে জয়ের আশা দেখান আরিফুল হক ও শুভাগত হোম। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬৩ রান। সেখান থেকে ভালো খেললেও, পরবর্তীতে নিজেদের বোকামিতে উইকেট হারায় মোহামেডান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২০ রান। সেটা আর নিতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত দল থামে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫০ রান করে। কাছে গিয়েও ৮ রানের হার দেখতে হয়।
আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। তানজিম সাকিব লাভ করেন ৩টি উইকেট।
এর আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের বড় পুঁজি পায় আবাহনী। দলটির পক্ষে এদিন রান পেয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জাকের আলি অনিক। এর মধ্যে মোসাদ্দেক ৭০ বল খেলে সমান ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। জাকের আলি অনিকও ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮২ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে।
এছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩৬ ও দলের বিদেশি পাকিস্তানের খুশদিল শাহ ২৯ রান করেন। তবে রান পাননি দুই ইনফর্ম ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। বিজয় ১১ ও নাঈম ২ রান করেন।
মোহামেডানের হয়ে মুশফিক হাসান ও শুভাগত হোম ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post