নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাগরিকার আকাশ এখনও খানিকট অন্ধকারে ডেকে আছে। পরিমান কমে এলেও, থামেনি বৃষ্টি। প্রায় এক ঘন্টা ধরে বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয়ে আছে ম্যাচ।
সেই ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারিত হয়েছে। টি-টোয়েন্টির নিয়ম অনুযায়ী এক ইনিংসের অন্তত ৫ ওভারের খেলা পরিচালনা করতে হলে, সেটা ৫ টা ৪৮ মিনিটে শুরু করতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে খেলা শুরু করা না যায়, তবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে ম্যাচ। অর্থাৎ, আর মাত্র এক ঘন্টা বাকি আছে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শুরুর করার।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তুলতেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। সেখান থেকে আর পরবর্তীতে মাঠে নামা হয়নি। বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৮১ রান তুলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। যা কিনা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ৭.১ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে ৯১ রান তুলেন লিটন-রনি। তাণ্ডব চালিয়ে লিটন প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ভাঙে সেই জুটি। আইরিশদের বিপক্ষে এদিন ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। ২৩ বলের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। প্রায় ২০৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন এই তারকা।
এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে ১৫০০ রান করার মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। তবে বাকিদের ছাড়িয়ে গেছেন একটি জায়গায়। দেড় হাজার করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম লিটন। এর জন্য খেলেছেন ৬৮ ইনিংস। দশ ওভারের আগেই দলের রান একশ পূরণ হয় বাংলাদেশের।
লিটনের বিদায়ের পর টপ অর্ডারে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্ত। ১ ছয়ের মারে ১৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ব্যাটিং পজিশনে উন্নতি করে চারে নাম শামীম পাটোয়ারি বেশ ভালো খেলছিলেন। তবে রনির সাথে তার জুটি ৩৬ রানের বেশি টেকেনি।
ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রনি। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটির পর এই ওপেনার ৩৮ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজান ৬৭ রানের ইনিংসটি। দারুণ খেলতে শামীম বিদায় নেন ১৭তম ওভারের প্রথম বলে। এর আগে দেড়শ স্ট্রাইক রেটে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে যান এই বাঁহাতি।
এরপর অধিনায়ক সাকিবকে সাথে নিয়ে ২৯ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। এক ছয়ে ১৩ রান করে ইনিংসের শেষ দিকে আউট হন হৃদয়। পরবর্তীতে বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব ১৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২০ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১ বলে এক বাউন্ডারিতে ৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার একেবারে কাছেই ছিল। সেটা করতে হলে ইনিংসের বাকি থাকা চার বলে ২১৫ রান টপকাতে হতো টাইগারদের। অর্থাৎ, অন্তত আরও ৮ রান করার প্রয়োজন ছিল। তবে বৃষ্টিতে সেটা আর হয়নি।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ক্রেইগ ইয়াং সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post