নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপিএলের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে লড়ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেটের দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপের সামনে দিশেহারা দলটির ব্যাটিং লাইনআপ। পাত্তায়ই পাচ্ছে না শুভাগত হোমের দল।
ইতিমধ্যেই ছয় উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পাওয়ার প্লে শেষে দলটির সংগ্রহ ছিল ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২১ রান। তবে এখন সেখান থেকে আরও চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে চট্টগ্রাম।
পাওয়ার প্লে শেষে পরের ওভারেই বল করতে আসেন তরুণ রেজাউর রহমান রাজা। আর এসেই শিকার করেন চট্টলার অধিনায়ক শুভাগত হোমের উইকেট। ওভারের দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন শুভাগত। ৭ বলে ১ রান করেই ফিরেন প্যাভিলিয়নে।
এরপর দশম ওভারে ফিরেন আল আমিন জুনিয়রও। আক্রমণাত্বক খেলতে গিয়ে কলিন অ্যাকারম্যানের করা ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিকুর রহিমের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। এর আগে টপ অর্ডারে নামা এই ব্যাটার খেলে যান ২০ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৮ রানের ইনিংস।
পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সদ্য উইকেটে আসা উসমান খান। রাজার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুশফিকুর সহজ ক্যাচে পরিণত হন। ৪ বলে ২ রান করেন আউট হওয়ার আগে। ম্যাচের ১৪তম ওভারে রাজার তৃতীয় শিকার চট্টগ্রামের আরেক বিদেশী ভারতীয় বংশদ্ভোত উন্মুক্ত চাঁদ। এবার ক্যাচ লুফে নেন কলিন অ্যাকারম্যান। উসমানের বিদায়ের পর উইকেটে এসে ১০ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে বিপিএলে অভিষেক হলো উন্মুক্তের।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সবশেষ সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে মাত্র ৬৫ রান। আফিফ হোসেন ২ বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ২০ রান করে ও সদ্য উইকেটে আসা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ২ বলে ২ রান করে ক্রিজে আছেন। সিলেটের হয়ে রাজা একাই শিকার করেছেন ৩ উইকেট।
এর আগে পাওয়ার প্লে’তে ইনিংসের শুরুতে মাশরাফী ও আমিরের করার প্রথম দুই ওভার থেকে মাত্র ১ রান করে মোট ২ রান নিতে পারে চট্টগ্রাম। তবে তৃতীয় ওভারে মাশরাফীকে একটি ছক্কা হাঁকান ওপেনার মেহেদী মারুফ। সেই মারুফ পঞ্চম বলে শিকার হয়েছেন রান আউটের।
আরেক ওপেনার দারউইস রাসুলির সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউটের কবলে পড়েন মারুফ। আর দারুণ এক থ্রো’তে সেই রান আউটের কারিগর জাকির হাসান। সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দেন। যার ফলে ১৪ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মারুফ।
এরপর উইকেট পতন হয় রাসুলির। তবে টিকতে পারেননি বেশি সময়। মোহাম্মদ আমিরের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাসুলি। বাউন্সিং বল বুঝতে পারেননি তিনি। উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকের লাফিয়ে উঠা দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে ধরতে হয় ড্রেসিং রুমে পথ। নামের পাশে তখন ৯ বলে মাত্র ৩ রান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post