নিজস্ব প্রতিবেদক:: শেরফান রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক শাই হোপের হাফ সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লিড নিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরকারী বাংলাদেশকে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো শাই হোপের দল।
আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিরাজ,তানজীদ তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে জাকের আলী অনিকের দুর্দান্ত ব্যাটে চড়ে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেরফান রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরি আর শাই হোপের হাফ সেঞ্চুরিতে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি টাইগার বোলাররা। শুরুতে ব্রেন্ডন কিং ও এভিন লুইসকে ফেরাতে পারলেও তাসকিন-নাহিদ রানারা শাই হোপ ও শেরফান রাদারফোর্ডদের থামতে পারেননি। বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান এ দুই ক্যারিবিয়ান।
তৃতীয় উইকেটে শাই হোপকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটি গড়েন কেসি কার্টি। ৩৭ বলে ২১ রান করে কেসি কার্টি ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। চতুর্থ উইকেটে শাই হোপ ও শেরফান রাদাফোর্ড ৯৯ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৯৩ রানে শাই হোপের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। তার আগে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ ৮৬ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন। ৮৮ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান স্বাগতিক অধিনায়ক।
শাই হোপ ফিরে গেলেও অবিচল থাকেন শেরফান রাদারফোর্ড। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করে নেন তিনি। খেলেন ১১৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। আট চার ও সাত ছক্কায় ৮০ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। ৪১ রানে অপরাজিত থেকে জাস্টিন গ্রিভস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের হয়ে তানজীম সাকিব, নাহিদ রানা, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনরা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। দলীয় ৩৪ রানেই ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারায় টাইগাররা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ১৮ বলের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন তিনটি বাউন্ডারি। তার বিদায়ের পর লিটন দাসও ফিরে যান দ্রুত। তিনে নামা এই ব্যাটার দলীয় ৪৬ রানেই প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। ৭ বলে করেন মাত্র ২ রান।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ তামিম ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দায়িত্বশীল জুটিতে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৭৯ রান। ইনিংসের ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১২৫ রানে তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। টাইগার ওপেনার ৬০ বলে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি।
তামিমের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটেও বাংলাদেশ পায় হাফ সেঞ্চুরির জুটি। অধিনায়ক মিরাজ আফিফকে নিয়ে আদায় করেন ৫৪ রান। দলীয় ১৭৯ রানে ৩৪তম ওভারের পঞ্চম বলে আফিফের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় সফরকারীরা। চারটি চারে ২৯ বলে ২৮ রান করেন আফিফ। তার বিদায়ের পর মিরাজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রানের দৃষ্টিনন্দন এক ইনিংস খেলে দলীয় ১৯৮ রানে ৩৮তম ওভারের তৃতীয় বলে পঞ্চম উইকেটে ফিরেন প্যাভেলিয়নে।
অধিনায়কের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জাকের আলীকে নিয়ে গড়েন বড় জুটি। ষষ্ট উইকেটে দু’জনের জুটি থেকে আসে ৯৬ রান। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪০ বলে ৪৮ রান করে ইনিংসের এক বল আগে সাজঘরে ফিরেন অনীক। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৪ বলের ইনিংসে তিনিও তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। তাতেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের বড় সংগ্রহ।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেইফার্ড ৩টি ও জোসেফ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০