নিজস্ব প্রতিবেদক:: অবশেষে থামতে হলো সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়রথ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে স্ট্রাইকার্সরা। লিটনের ফিফটিতে সিলেটের দেওয়া লক্ষ্য সহজেই টপকে গেছে ভিক্টোরিয়ান্সরা।
টানা পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে দেখলো হারের মুখ। টেনটুনে ১৩৩ রান করেছিলো সিলেট। এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে যা টপকে গেছে ইমরুলের দল।
১৩৪ রানের টার্গেটে খেলতে নামা কুমিল্লা দারুণ শুরু পায়। লিটন-রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটি থেকেই ৫৭ রান তুলে নেয় দলটি। ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দুই চারে ১৮ বলে ১৫ রান করেন পাকিস্তানী ওপেনার।
অধিনায়ক ইমরুলকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে আবারো জুটি গড়েন লিটন দাস। তুলে নেন ২৬ রান। দলীয় ৮৩ রানে ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে ইমরুলকে হারায় কুমিল্লা। এক চার ও এক ছয়ে ১৯ বলে ১৮ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর লিটনও ফিরেন সাজঘরে। তবে তার আগে ঝলমলে এক ইনিংসে তুলে নেন ফিফটি। ৪২ বলের বিস্ফোরক ইনিংসে করেছেন ৭০ রান। সাত চার আর চার ছক্কায় সাজিয়েছেন নিজের ইনিংসটি। জসন চার্লস ১৮ রানে ও মোসাদ্দেক ৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
সিলেটের হয়ে মাশরাফী ২টি ও শরিফুল্লা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে আগে ব্যাট করতে নামা স্ট্রাইকার্সরা শুরুটা করে উইকেট হারিয়ে। দলীয় ৯ রানের মাথায় ওপেনার হারিস রউফকে হারায় দলটি। সাত বলের ইনিংসে একটি ছক্কা হাঁকিয়েই প্যাভেলিয়নে ফেরেন পাক ওপেনার। তিনে নামা আকবর আলীকেও দ্রুত তুলে নেয় কুমিল্লা। দলীয় ১১ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় মাশরাফীর দল। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ১ রানে সাজঘরে ফিরেন এই ব্যাটার।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো সিলেটের হয়ে বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করেন শান্ত ও জাকির। তারাও ফিরেন দ্রুত। মুশফিক, শরিফুল্লাহ আর মাশরাফীদের হারিয়ে দলীয় অর্ধশতকের আগেই ছয় উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্সরা। সপ্তম উইকেটে ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ৮০ রানের জুটিতেই সিলেট পায় লড়াইয়ের পূঁজি।
ব্যর্থতার মিছিলে জাকির হাসান করেন ৯ রান। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। শরিফুল্লা ১ রানে ও শুন্য রানে মাশরাফীর বিদায়ে ইনিংসের নবম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪৯ রানেই সিলেট হারায় ৬ উইকেট। সপ্তম উইকেটে ইমাদ ওয়াসিম ও পেরেরায় রক্ষা পায় স্ট্রাইকার্সরা। পাকিস্তানের ব্যাটার ওয়াসিম তিন চার ও এক ছয়ে ৩৩ বলে ৪০ রানে, লঙ্কান ব্যাটার পেরেরা দু’টি করে চার ও ছক্কায় ৩১ বলে ৪৩ রানে থাকেন অপরাজিত।
কুমিল্লার হয়ে হাসান আলী ও মুকিদুল ইসলামরা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post