নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সুপার লিগও জয় দিয়ে শুরু করল আবাহনী লিমিটেড। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হেসেখেলে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আকাশী-নীলরা। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের বিপক্ষে এই ম্যাচে মন্থর ফিফটিতে দলকে একেবারে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন লিটন দাস। বিশ্রাম থেকে ফিরে রান পাওয়াটা স্বস্তিরই এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের জন্য। ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়ও। এর আগে বল হাতে দারুণ করেছেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সাথে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন লিটন দাস। ২২ রান করে বিজয় ফিরলে উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনের সাথে ৫২ রানের জুটির পর তিনিও ফেরেন ২২ রান করে। আফিফ হোসেন ধ্রুব একাদশে এসে টিকতে পারেননি বেশি সময়। মাত্র ৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
এরপর লিটন দাসের সাথে ৬২ রানের ঝড়ো এক জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। এর মধ্যে হৃদয় একাই খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ঝড়ো ইনিংসটি সাজান এই তারকা। পরবর্তীতে উইকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি জাকের আলি অনিক। ১২ রান করেই বিদায় নেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে তানভীর ইসলামকে সাথে নিয়ে ৩৮.৩ ওভারে একেবারে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন লিটন। এই তারকা ফিফটি হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। মন্থর ব্যাটিংয়ে ১০৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৭ বাউন্ডারিতে। ৮ রানে অপরাজিত থাকেন তানভীর।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সানজামুল ইসলাম ও শেখ মেহেদী ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের পেস তোপে টপ অর্ডারের তিন জন যথাক্রমে পারভেজ হোসেন ইমন, শাহদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটির হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই অভিজ্ঞ মিলে ১১২ রানের অসাধারণ জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন বিপদ থেকে।
তবে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে মুশফিক বিদায় নিলে জুটি ভাঙতেই ফের বিপদে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। দ্রুতই ফিরেন জাকিরও। তবে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক এর আগে খেলে যান ৭০ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস। দলের হয়ে এরপর আর কেউ ভালোভাবে হাল ধরতে পারেননি। ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুনও। আশা দেখিয়েও ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি শেখ মেহেদী। তাই দুইশ পেরোনোর আগেই অলআউট হয়ে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ৩৯.৩ ওভারে ১৭৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় দলের ইনিংস।
আবাহনীর হয়ে শরিফুল ৩টি, তাসকিন, তানভীর ও মোসাদ্দেক সৈকত ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post