স্পোর্টস ডেস্ক:: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সফল দল ম্যানচেস্টার সিটি শতাব্দীর আলোচিত বিচারে বড় শাস্তির মুখোমুখি। প্রিমিয়ার লিগ ও ম্যানচেস্টার কর্তৃপক্ষের আইনী লড়াই শেষের পথে। আদালত বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। এবার রায় দেওয়ার পালা।
রায়ে বড় ধরণের শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সিটি। ক্লাবটির বিরুদ্ধে আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের ১১৫টি অভিযোগ এনেছিলো প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের শুনানী শেষ পর্যায়ে। এখন ম্যানচেস্টার সিটির সম্ভাব্য শাস্তি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। ২০১৮ সালে ক্লাবটির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ ২০০৯-১০ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত ক্লাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করে।
তদন্তকারী সংস্থাকে সিটি সহযোগিতাও করেনি। তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও উঠে। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে ওই সময়ের মধ্যে ক্লাবটির জেতা ট্রফিগুলো কেড়ে নেওয়া হতে পারে। শাস্তি হিসেবে দ্বিতীয়স্তরেও নামিয়ে দেওয়া হতে পারে তাদেরকে।
নির্দিষ্ট সময়ে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সিটির অনেক পয়েন্টও কেটে নেওয়া হবে। সফল ক্লাবটির ভাগ্যে কী ঘটতে পারে, সে ব্যাপারে ইংল্যান্ডের শেফিল্ড হ্যালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রব উইলসন সম্প্রতি একটি মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তারা (ম্যানচেস্টার সিটি) সরাসরি অবনমিত হবে, এমন আশা করছি না। আমার মনে হয়, তাদের অনেক পয়েন্ট কাটা হবে। আমার অনুমান ছিল প্রায় ৫০ (পয়েন্ট কাটা) হবে। তবে এমন ধারণা যখন করেছিলাম, তখন তারা প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল। এখন সম্ভবত ২০ থেকে ৪০ পয়েন্টের মধ্যে কিছু একটা হবে। সঙ্গে আগামী গ্রীষ্মকালীন দলবদলে নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারে। জানুয়ারিতে তাদের কার্যকলাপ (শীতকালীন দলবদল) দেখে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আমি আশা করছি, ম্যানচেস্টার সিটির শাস্তি হবে। কিন্তু এটা ম্যানচেস্টার সিটি-প্রিমিয়ার লিগ উভয় পক্ষের জন্যই জয় হবে। কারণ, এটা সিটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পয়েন্ট কর্তন হলেও ফুটবল ক্লাব হিসেবে তাদের অস্থিতিশীল করার জন্য যথেষ্ট হবে না।’
সিটির উপর নিষেদাজ্ঞা আসছে জানিয়ে উইলসন আরও বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, (গ্রীষ্মকালীন) দলবদলে তাদের ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা আসবে। কারণ, তাদের কিছু স্তরের ক্রীড়া অনুমোদন প্রদান করতে হবে। সেটাই বলে দেবে কেন তারা হঠাৎ দলবদলের বাজারে গিয়েছিল এবং সম্ভাব্য চার খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ যে প্রবণতা দেখিয়েছে, সেই অনুযায়ী একই মৌসুমের মধ্যে করতে হবে। এ কারণেই এভারটনের সঙ্গে বড় ধরনের লড়াই হয়েছিল। কারণ, লভ্যাংশের অনুপাত (প্রফিট শেয়ারিং রেশিও) হিসাব করার দুটি ভিন্ন পর্যায়ের ওপর ভিত্তি করে একই মৌসুমে এভারটনের ২ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছিল।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০