স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচে জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ব্যাটারের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
লাহোরে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩৪ রান। ১১৯ বলে সর্বোচ্চ ১১২ রান আসে মিরাজের ব্যাটে। শান্ত ১০৫ বলে করেন ১০৪ রান। সাকিব মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। মুশফিক ১৫ বলে করে যান ২৫ রান। আফগানদের হয়ে একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন গুলবাদিন নাইব ও মুজিব উর রহমান।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মিরাজ এবং নাঈম শেখ শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন। তাতে ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ রান। ৭ ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ দেখে টাইগাররা। দশম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাতটা দেন মুজিব-উর-রহমান। ৩২ বলে ২৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন নাঈম শেখ। পরের ওভারে আউট হন তাওহীদ হৃদয়। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি (১৯২ রানের) গড়েন মিরাজ-শান্ত। ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। অন্যদিকে শান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন ৫৭ বলে। ১১৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। অবশ্য সেঞ্চুরির পর ক্র্যাম্পের কারণে ১১২ রানে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর ফলে শান্ত-মিরাজের জুটি থামে ১৯২ রানে। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। তাতে দারুণ এক রেকর্ড হয়। পঞ্চমবারের মতো একই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের দুজন ব্যাটসম্যান, সর্বশেষ ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে শান্তর খেলতে হয়েছে ১০১ বল। ১০৪ রানে রান আউট হয়ে তাঁর ইনিংসে সমাপ্তি হয়েছে।তাঁর ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ৯টি চারের মার। ২৫ রান করে রান আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। ১৫ বলে ১টি করে ছক্কা-চারে ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। শামীম পাটোয়ারিও রান আউট হয়েছেন ৬ বলে ১১ রান করে। সাকিব শেষ পর্যন্ত ৩২ রানে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেন। ১৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান তিনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post