নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটের মাঠে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এবার ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। আর এই জয়ে প্লে-অফের পথ অনেকটা সুগম করলো নুরুল হাসান সোহানের দল। ৭২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেছেন শেখ মেহেদী।
ঢাকার দেওয়া ১৪৫ রানের মাঝারি রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে দলীয় ৫ রানের মাথাতেই ওপেনার নাইম শেখের উইকেট হারায় রংপুর। এরপর ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান টপ অর্ডারে নামা শেখ মেহেদী ও ওপেনার রনি তালুকদার।
এই জুটি ভাঙার পর দলীয় একশ পূরণের আগে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়ে রংপুর। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় আরও একটি উইকেট হারায় রংপুর। তবে ষষ্ঠ উইকেটে দুই বিদেশী আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নওয়াজ অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এক ওভার হাতে রেখেই।
রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মেহেদী। ৪৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কার মারে। ৫ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ২৮ রান করেন রনি। নওয়াজের ব্যাট থেকে অপরাজিত ১৭ ও ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে অপরাজিত ১২ রান আসে।
ঢাকার হয়ে সালমান ইরশাদ ২টি, আমির হামজা, আল আমিন হোসেন ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা ডমিনেটর্স।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন মিজানুর রহমান। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম্য সরকার। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি চারে নামা অ্যালেক্স ব্লেক। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন উসমান। তবে তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি মিঠুন।
মিঠুন আউট হয়েছেন ১৫ বলে ১৪ রান করে। উসমান ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২২ বলে ২৯ রান করেন নাসির। এদিকে শেষ ওভারে হারিসের ওভারে এক চার ও দুই ছক্কায় ১৯ রান নেন উসমান। ফলে ১৪৪ রান তোলে ঢাকা। ৫৫ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন উসমান।
রংপুরের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান এবং রকিবুল হাসান। দুজনই একটি করে উইকেট পেলেও তাদের ইকোনমি ছিল দারুণ। আর আজমতুল্লাহ ওমরজাই পেয়েছেন ২ উইকেট। বেশ খরুচে ছিলেন রউফ। উইকেট ছাড়াই শেষ করেছেন নিজের বোলিং স্পেল।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post