স্পোর্টস ডেস্কঃ ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের প্রয়োজন ১০ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট। শ্রীলঙ্কার হয়ে লাহিরু কুমারা বল করতে আসলেন। প্রথম বলেই মার্ক চাপম্যানের হাতে হজম করেন ছয়। কিন্তু এরপর টানা তিন বলে তিন উইকেট তুলে নেয় লঙ্কানরা। এর মধ্যে একটি ওয়াইড বল ছিল।
চতুর্থ বলেও রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে, আরও এক উইকেট পেত শ্রীলঙ্কা। উল্টো বাই থেকে আসে এক রান। জমে উঠা ম্যচে চতুর্থ বলেই দুই রান তুলে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। রোমাঞ্চ ছড়ানো শেষ ওভারে এক বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কিউইরা। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিল নিউজিল্যান্ড। ৫.৩ ওভার স্থায়ী চাঁদ বাওয়ে ও টিম সেইফার্টের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৩ রান। এরপর টম লাথামকে সাথে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন সেইফার্ট। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন সেইফার্ট। এরপর চাপম্যান ঝড় তুলে জয় তোলার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারের থ্রিলারে এক বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে ৮৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ওপেনার সেইফার্ট। ৪৮ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। গেল ম্যাচেও ৭৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। এদিকে শেষ ম্যাচে ৩১ রান করেন অধিনায়ক লাথাম। চাপম্যান করেন ১৬ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে লাহিরু কুমারা ৩ উইকেট লাভ করেন।
এর আগে কুইন্সটাউনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ৪৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস। রান আউট হওয়ার আগে ৩৩ রান করেন কুশল পেরেরা। ৯ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বেন লিস্টার ২টি উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post