স্পোর্টস ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষের রোমাঞ্চে হারল বাংলাদেশ। সোমবার নিউইয়র্কে আগে ব্যাট করে ১১৩ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। রান তাড়ায় চাপে পড়লেও তাওহীদ হৃদয় ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে জয়ের পথে হাঁটছিল টাইগাররা। তবে শেষ ওভারে লড়াই করেও বাংলাদেশকে জেতাতে পারেন নি রিয়াদ। ৪ রানের জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১১৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ২ বাউন্ডারিতে বল সমান ৯ রান করে কাগিসো রাবাদার বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ খেলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন। এরপর পাওয়ার প্লে দেখেশুনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে টাইগাররা। সপ্তম ওভারে এসে লিটন বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, ১৩ বলে করেন ৯।
পরের ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়াকে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৪ বলে করেন ৩ রান। অধিনায়ক শান্ত দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন। নরকিয়ার শিকার হওয়ার আগে ২৩ বল খেলে এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেছিলেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের জুটিতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার প্রোটিয়াদের হারানোর আশাও জেগেছিল টাইগার শিবিরে। তবে আম্পায়ার্স কলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ১৭ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ তখন ৯৪ রান। ১৮ বলে প্রয়োজন ২০ রান। তখনই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকা হৃদয়। কাগিসো রাবাদার বলে আবেদন ওতো জোরালোও ছিল না। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ দেন এলবিডব্লই। বলটি লেগ স্টাম্পের চূড়ায় হালকা ছুঁয়ে যায়। রিভিউ নিয়েও তাই কাজ হয়নি। আম্পায়ার্স কলে আউট ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩৪ বলে ৩৭ রান করা হৃদয়।
আগের ওভারে বাংলাদেশের ক্ষতি করেন অন্য ফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। মাহমুদউল্লারহ প্যাড ছুঁয়ে পেছনে বাউন্ডারি হওয়া বলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করেছে। কিন্তু আগে আউট দেয়ায় বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ। বল ডট হিসেবে গণ্য হয়। কপালটাও খারাপ বলা যায় টাইগারদের। শেষ দুই বলে যখন ৬ রানের প্রয়োজন তখন মহারাজের ফুলটস বলে সজোরে লং অনের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেটি সীমানার কাছ থেকে লাফিয়ে তালুবন্ধি করে নেন মারক্রাম। যেটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। মাথায় হাত দিয়ে কিছুক্ষণ বাউন্ডারির দিকে তাকিয়ে থাকেন তিনি। শেষ বলে ছক্কার সমীকরণ আর মেলাতে পারেন নি তাসকিন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন কেশভ মহারাজ। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ডেভিড মিলার ও আইনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালেও স্কোরটা স্বস্তিকর ছিল না। ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১৩ রান করে তারা।
এসএনপিস্পাের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post