নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ব্যাটিং দৈন্যতা কাটিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বড় সংগ্রহ পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের পুঁজি পেয়েছে রাইডার্স। যেখানে ঝড়ো এক ফিফটি হাঁকিয়েছেন শোয়েব মালিক। জিততে হলে বরিশালকে করতে হবে এখন্ন ১৫৯ রান।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে পাওয়ার প্লে’র মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ইনিংসের একেবারে প্রথম বলে আউট হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেন নাইম শেখ।
এদিন টপ অর্ডারে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান। তবে দলের ‘বাজির ঘোড়া’ হতে পারেননি। এবাদতের বলে বোল্ডআউট হয়ে ৭ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রানে ফিরে উল্টো চাপ বাড়িয়ে দেন। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইনফর্ম সিকান্দার রাজা। ৭ বলে মাত্র ২ রান করা জিম্বাবুয়ের এই তারকাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান চতুরঙ্গা ডি সিলভা।
সেই চতুরঙ্গাই দলীয় ৭৬ রানে ফেরান রনিকে। প্রথম ম্যাচের পর এই ম্যাচেও ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। দল উইকেট হারালেও, তার ব্যাটে অনেকটা স্বস্তি থাকে রাইডার্স শিবিরে। তবে এই ওপেনারের বিদায় ফের দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দেয় তাদেরকে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলেন রনি।
রনির বিদায়ের পর উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হন। এর আগে ১২ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১২ রান করে যান।দলীয় একশ পূরণের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে চরম চাপে পড়ে রংপুর। পরবর্তীতে সুবিধা করতে পারেননি বেনি হাওয়েল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
তবে সেখান থেকে শোয়েব মালিকের ব্যাটে চড়ে ভালো এক সংগ্রহ পায় দলটি। এক প্রান্ত আগলে রাখা মালিক খেলেন ৩৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রবিউল হক। তিনি ১৫ বলে ১ ছক্কায় ১৮ রান করেন। তাদের দুজনের অষ্টম উইকেটে ২৬ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিই রংপুরকে দেড়শ পার করা লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়।
বরিশালের হয়ে চতুরঙ্গা ডি সিলভা ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন। সাকিব, এবাদত ও করিম জানাত শিকার করেন ১টি করে উইকেট। এর মধ্যে সাকিব ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেন। মিরাজ ২১ রান খরচ করেন সমান ওভার বল করে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post