নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের রানার্সআপ সিলেট স্ট্রাইকার্স। গত আসরে অল্পের জন্য শিরোপা মিস করা সিলেট এবার দেখেছিলো শিরোপার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন ফিকে হয়েছে লাক্কাতুরার বাইশ গজে।
উঁচু-নিচুঁ চা বাগানের এক খন্ড সমলে পতিত হলো স্ট্রাইকার্সরা। ঘরের মাঠে টানা তিন আ্রর সব মিলিয়ে টানা পাঁচ হারে সিলেটের প্লে-অফের দৌড়ও প্রায় শেষ। টানা তিন হার নিয়ে সিলেটের মুখোমুখি হওয়া বরিশালও জয় তুলে নিয়েছে। টানা চার হার নিয়ে মাঠে নামা সিলেটের দলটি ৪৯ রানে হেরেছে।
মাহমুদউল্লাহ-শেহজাদের হাফ সেঞ্চুরিতে বরিশাল আগে ব্যাট করে তুলেছিলো ৫ উইকেটে ১৮৬ রান। বড় লক্ষ্যে খেলতে নামা স্ট্রাইকার্সরা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৩৭রানে। টানা তিন হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে বরিশাল। সিলেট হেরেছে টানা পাঁচ ম্যাচ।
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা শুরুতেই হারায় শান্তকে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ২৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। অর্ধশতকের আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় মারমুখী হতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার শামসুর রহমান। ২৩ বলে করেন ২৫ রান।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো সিলেট অধর্শতকের ঘর পেরুতেই হারায় তৃতীয় উইকেট। দলীয় ৫২ রানের মাথায় চার নম্বরে নামা মাশরাফী ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ৩বলে ২ রান করেন অধিনায়ক। এরপর কিছুটা ঝড় তুলেন জাকির হাসান। চার চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করে দলীয় ১১০ রানের মাথায় তিনি বিদায় নিলে সিলেটের হারও অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। একে একে ফিরে যান বাকী ব্যাটাররাও। বলার মতো ২৪ রান করেন হাওয়েল। সিলেট গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩৭ রানে।
বরিশালের হয়ে ইমরান ৪টি ও মিরাজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৪ রানেই ব্যর্থ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এদিন ৮ বল খেলে ২ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যর্থ হন টপ অর্ডারে সুযোগ পাওয়া প্রীতম কুমারও। ৫ বলে ১ রান করে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় তিনি আউট হন।
এরপর সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে ৫০ রানের এক জুটি গড়েন শেহজাদ। ভালো শুরু পেলেও, আরও একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। দলীয় ৮৩ আর ব্যক্তিগত ২০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। দলীয় রান একশ পার হওয়ার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শেহজাদও। তবে এর আগে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি পূরণ করে ৪১ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে ২৬ রানের জুটি গড়েন। ২২ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি বরিশাল। মেহেদী হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে ৫২ রানের ঝড়ো অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের রান বড় করেন মাহমুদউল্লাহ।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফিফটি হাঁকিয়ে ২৪ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন বেনি হাওয়েল।
Discussion about this post