নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) জয় দিয়েই আসর শুরু করলো নবাগত দল ঢাকা ডমিনেটর্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নাসির হোসেনের দল।
তবে সহজ ম্যাচকে অনেকটা কঠিন করেই জিতেছে ঢাকা। ১১৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে দলটিকে খেলতে হয়েছে ১৯.১ ওভার পর্যন্ত। ৫ বল হাতে রেখে দলকে জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নাসির। খেলেন অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস। এড় আগে বল হাতে দুই উইকেট নিয়েছিলেন। তাই ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও তার হাতেই উঠেছে।
খুলনার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা নিজেদের মনের মতনই করে ঢাকা। যদিও দলীয় ১৬ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন আহমেদ শেহজাদ। তবে অপর ওপেনার দিলশান মুনাভিরা বেশ ভালোভাবেই জুটি গড়েন ব্যাটিংয়ে আসা সৌম্য সরকারের সাথে।
তাদের ৩১ রানের জুটি বাঁধে সৌম্যের বিদায়ে। প্যাভিলিয়নে পথ ধরার আগে অবশ্য ভালোই ব্যাট চালাচ্ছিলেন সৌম্য। ১৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ১৬ রান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এর আগে একবার আউটও হয়েছিলেন। তবে এডিআরএসের সহায়তার পর খানিক নাটকীয়তায় এলবিডব্লিউর ফাঁদ থেকে বেঁচে ফিরে আসেন।
সৌম্যের বিদায়ের পর বেশি সময় টিকতে পারেননি দিলশানও। দলীয় ৫১ আর ব্যক্তিগত ২২ রানে সাইফউদ্দিনের এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। তার ওয়ানডেসুলভ ইনিংস সাজানো ছিল ২৮ বল আর ৩ বাউন্ডারিতে। ব্যাটে হাতে ঝলক দেখাতে পারেননি অভিজ্ঞ মোহাম্মদ মিঠুনও। ১৪ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেই বিদায় নিয়েছেন।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নাসির ও উসমান গণির ধীর গতির ৩৪ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে ঢাকা। উসমান গণি ১৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করে আউট হলেও, দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন নাসির। ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সাথে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। ১টি করে উইকেট লাভ করেন ওয়াহাব রিয়াজ ও পল ফন মিকিরিন।
এর আগে মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেটে’ আগে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি বড় স্কোর গড়তে পারেনি খুলনা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৩ রান পুঁজি পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। রূপসা পাড়ের দলটি পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। দলীয় ২৮ রানের মধ্যেই একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শারজিল খান (১১ বলে ৭), মুনিম শাহরিয়ার (৫ বলে ৪) ও তামিম ইকবাল (১৫ বলে ৮)।
চতুর্থ উইকেটে আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাটে আসে ২১ রানের জুটি। ভালো শুরু পেয়েও ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে মাত্র ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন পাকিস্তানের আজম খান। পরবর্তীতে পঞ্চম উইকেটে সাইফউদ্দিনের সাথে ৩১ রানের জুটি গড়েন রাব্বি। খুলনা অধিনায়ক ২৫ বলে ১টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হলে, ভাঙে সেই জুটি।
দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাইফউদ্দিনও। তবে এর আগে ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে করেন ২৮ বলে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ১৯ রান। শেষ দিকে সাব্বির রহমানের ১১ বলে ১১ ও ওয়াহাব রিয়াজের ৩ বলে ১ ছয় ও চারের মারে ১১ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে দলীয় রান একশ পার করতে পারে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।
ঢাকার হয়ে ৪ ওভার বল করে ২৮ রান খরচায় একাই ৪ উইকেট শিকার করেন আল আমিন হোসেন। এর বাইরে নাসির হোসেন ও আরফাত সানী ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post