স্পোর্টস ডেস্কঃ নাসাউ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ দারুণ বোলিং করলেন বাংলাদেশের বোলাররা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ওভারে মাত্র ১১৩ রান করতে পেরেছে। টাইগার পেসাররা আজ দারুণ বল করেছেন। বিশেষ করে পেসার তানজিম হাসান সাকিব প্রোটিয়াদের কোমর ভেঙে দেন! ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে টস জিতে করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রথম ওভারের শেষ বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনড্রিকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন তানজিম সাকিব। শুরুতেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তরুণ এই পেসার। নিজের পরের ওভারে আবার সফল ডানহাতি সাকিব। এবার তাঁর শিকার হোন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। সাকিবের পর দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে বল করতে এসে আবার উইকেটের দেখা পান সাকিব। এবার তাঁর শিকার হন স্ট্রিস্টান স্টাবস।
এর আগে ব্যাট হাতে শুরুতেই ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন ডি কক। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন প্রোটিয়া এই ওপেনার। পরের বলে চার। দুই বলে ১০ রান হজমের পর ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিলেন না সাকিব। ওভারের শেষ বলে অফ স্টাম্পে পিচ করে ভেতরের দিকে ঢোকা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলেন রেজা হেনড্রিকস। বল তার পেছনের পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। গোল্ডেন ডাক হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন রেজা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে বিধ্বংসী ব্যাটার ডি কককে শিকার বানালেন সাকিব। ব্যাটে লাগাতে পারেননি ডি কক। পুল করতে গিয়ে হারিয়েছেন স্টাম্প। ১ চার ও ২ ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন তিনি।
সাকিবের দুই উইকেটের পর এবার তিন নম্বরে নামা এইডেন মারক্রামকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা লেংথ ডেলিভারি এঙ্গেলের সঙ্গে ভেতরে ঢোকার মুখে ভুল লাইনে ব্যাট চালান মার্করাম। বল আঘাত করে স্টাম্পে। আউট হওয়ার পর বিস্ময়ভরা চোখে পিচের দিকে তাকিয়ে থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি অফ সাইডে খেলার চেষ্টায় ঠিকঠাক মারতে পারেননি স্টাবস। শর্ট কভারে নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন সাকিব আল হাসান। খালি হাতেই ফেরেন স্টাবস।
এরপর পরিস্থিতি সামলে উঠতে থাকেন ক্লাসেন ও মিলার। দুজনের জুটি বড় হতে থাকে, আসে রানও। রিশাদ হোসেন তার প্রথম দুই ওভারে দেন ২০ রান। তাকে টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকান ক্লাসেন। সাকিব এক ওভারে ৬ রান দেন। এর মধ্যে শান্ত বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দিয়ে আস্থার প্রতিদান তিনি। তার করা প্রথম বলেই ডেভিড মিলারের ক্যাচ উইকেটের পেছনে ছাড়েন লিটন দাস। ১৮তম ওভারে গিয়ে অবশেষে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে যান ক্লাসেন। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন ক্লাসেন। ইনিংসের শেষ অবধি ব্যাট করতে পারেননি ডেভিড মিলারও। রিশাদের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে ৩৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২৯ রান করেন মিলার।
এসএনপিস্পাের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post