স্পোর্টস ডেস্ক:: আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে শিশিরের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার পতনের পর থেকে এই ক্রিকেটার পরিবারকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ঢাকায় আসতে চাইলেও নিরাপত্তার ছাড়পত্র না পাওয়ায় তার আসা হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার দেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউয়ের এই নির্দেশনা আপাতত ৩০ দিনের জন্য দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনী পরবর্তীতে এই সময় সীমা বাড়ানো হবে। এই সময়ের মধ্যে সাকিব ও তার স্ত্রী তাদের নামীয় একাউন্ট থেকে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে।
জব্দ করার নির্দেশ দেওয়ার আগে বিএফআইইউ সাকিব এবং তার স্ত্রী শিশিরের হিসাব তলব করেছিলো। গত ২ অক্টোবর তাদের সব হিসাব তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। এবার জব্দের নির্দেশ দেওয়া হলো। বিদেশে থাকা সাকিব এখন দেশে কোনো ধরণের লেনদেন করতে পারবেন না। তবে ব্যবসায়িক একাউন্টগুলোর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার টাইগারদের সবশেষ ভারত সফরে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। কানপুর টেস্টের আগে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ঢাকায় ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়ে ছিলেন তিনি। তার ইচ্ছে অনুযায়ী সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয় তাকে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের মুখে তিনি ঢাকায় ফিরতে পারেননি। হোম অব ক্রিকেটে খেলতে পারেননি ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
এরপর সংযুক্ত আরব-আমিরাতে চলমান ওয়ানডে সিরিজে শুরুতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে ছিলেন। তবে শেষ মূহুর্তে তিনি ওয়ানডে সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসর নেওয়া এই ক্রিকেটার শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলতে চান জানিয়ে ছিলেন। ক্রিকেটের এই ফরম্যাট থেকে আগামি বছর অনুষ্টতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে তিনি অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পরই সাকিবের ছন্দপতন ঘটে। দলে তাকে রাখা না রাখা নিয়ে তৈরি হয় দ্বিমত। ঢাকায় একপক্ষ তাকে বাদ দিতে আন্দোলন করেন। আবার সাকিবের ভক্ত সমর্থকেরা তাকে দেশে ফেরাতে এবং শেষ টেস্ট খেলতে সুযোগ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেন। বাংলাদেশের জার্সিতে এই অলরাউন্ডারের মাঠে নামা এখন প্রায় অনিশ্চিত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০