স্পোর্টস ডেস্ক:: অবশেষে সাকিব আল হাসান ইস্যুতে ক্রিকেট বোর্ডের মনোভাব জানা গেলো। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসতে চেয়ে ছিলেন এই ক্রিকেটার। বোর্ড এবং সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানাও দেন। তবে ঢাকায় বিক্ষোভ শুরু হলে দুবাই থেকেই তাকে ফিরে যেতে হয় মার্কিন মুল্লুকে।
সাকিব আল হাসান জানিয়ে ছিলেন, নিরাপত্তার শঙ্কায় তিনি দেশে ফিরছেন না। সরকার থেকেই তাকে বারণ করা হয়েছে। তবে এতোদিন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সফররত সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবের ঢাকায়ই আসা হয়নি।
অবশেষে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমদ জানালেন, সাকিব দেশে আসেননি, তাই তাদের করার কিছুই ছিলো না। ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা বিসিবি নিশ্চিত করতো। কিন্তুু তিনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য। তার নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয় সরকারই দেখছে। সরকার এবং সাকিবকে তাই বিসিবির খুব একটা করার কিছুই ছিলো না।বোর্ড সভাপতির ব্যক্তিগত চাওয়া ছিলো সাকিব যেনো দেশে ফিরতে পারেন।
ঢাকায় বুধবার বোর্ডের সভা শেষে ফারুক আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “আপনি যেটা বললেন যে, শেষ টেস্ট খেলতে (ফিরতে পারেনি)… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান (তাদের ব্যাপার)..। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।”
সাকিবের ইস্যুতে সরকার এবং ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ এক নয় জানিয়ে বিসিবি বস আরো বলেন,“কিন্তু সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকালের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।”
সাকিব দেশে না আসাতে বোর্ডের করার কিছু ছিলো না জানিয়ে ফারুক আহমদ বলেন, “আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এজন্য আম মনে করেছি, এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না।”
সাকিব ইস্যুতে আর কথা বলে লাভ নেই মন্তব্য করে বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেন“এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।”
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০