নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘোষণাটা আগেই ছিল, এবার সেটির প্রতিফলন হলো। সাত সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে দৌড়ালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার। নিজেদের ক্রিকেট মাঠ ছেড়ে, এই মাঠে কেন এর উত্তরও রয়েছে। ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন ট্রেনার ন্যাথান কিলি দেখতে চাইছিলেন ক্রিকেটাদের বর্তমান ফিটনেস অবস্থা কেমন। যার জন্য অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড় ও ৪০ মিটার স্প্রিন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় দলের ৩৫ জন ক্রিকেটার সেখানে অংশ নিয়েছেন। শান্ত-লিটন-মুশফিকরা জিপিএস ট্র্যাকার পড়ে দৌড়েছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে।
দুই ভাগে ভাগ হয়ে সেই দৌড়ে একটি ভাগে প্রথম হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। আরেকটিতে প্রথম হয়েছেন নাহিদ রানা। তবে সেটা কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। এই দৌড়ে অংশ নেননি তাসকিন আহমেদ, চোটে থাকা সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলাম। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারকে সময় দিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব আল হাসান ও আইপিএলে ব্যস্ত থাকা মুস্তাফিজুর রহমানেরও অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়নি।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট ছেড়ে কেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ফিটনেস পরীক্ষা, এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশীয় ট্রেনার খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে, টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬০০ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নেই তাহলে, প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post