নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আয়ারল্যান্ডের বোলারদের পাত্তাই দিলেন না মুশফিকুর রহিম। সোমবার তাঁর রেকর্ড গড়া ইনিংসে ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে রেকর্ড ৩৪৯ রান করেছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। মাত্র ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রান করেছেন তিনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তামিম ইকবাল ফিরে গেলেও উইকেটে অবিচল ছিলেন লিটন দাস। নিজের জন্মদিনে ২৩ রান করে আউট হন তামিম। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করেন। দলের রান যখন ১৪৩ তখন ফিরে যান লিটন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
৭১ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। এরপর ফিরে যান সাকিবও। ধৈর্য্য হারিয়ে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আউটের আগে ২ চার হাঁকান তিনি। সেঞ্চুরি নাগালে ছিল শান্তরও। তবে লিটনের মতো উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। গ্রাহাম হিউমের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন ফিরেন এ বাঁহাতি। ৭৭ বলে ৭৩ রান করে আউট তিনি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারলেন না শান্ত। ৩ চার ও ২ ছক্কায় তাঁর ইনিংস সাজান তিনি।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। এই দুজন আইরিশ বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট চালিয়েছেন তারা। মাত্র ৩৮ বলে দুজন গড়েন জুটির পঞ্চাশ। মুশফিক তুলে নেন ৩৩ বলে ফিফটি। মাত্র ১ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন হৃদয়। মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন তিনি।
হৃদয় ফিরলেও ঝড় থামে নি মুশফিকের। একের পর এক বাউন্ডারিতে ছুটছিলেন রেকর্ড সেঞ্চুরির দিকে। আর শেষ পর্যন্ত সেই সেই মাইলফলকও স্পর্শ করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজারী ক্লাবে প্রবেশ করার দিনে দ্রুততম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। মাত্র ৬০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিক, বাংলাদেশের হয়ে যেটি এখন দ্রুততম। মুশফিক ভাঙলেন সাকিবের রেকর্ড, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি দুটি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ৬৩ বলে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post